বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারোগার দপ্তর, ৮৩ সংখ্যা।

 দ্বারবানের এই কথা শুনিয়া সেই পরদা ঠেলিয়া আমি সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিলাম। দেখিলাম, মাড়োয়ারীগণ সর্ব্বদা যেরূপ স্থানে বা যেরূপ ভাবে বসিয়া আপন আপন কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়া থাকেন, ইনি কিন্তু সেরূপ ভাবে বসিয়া আপন কার্য্যে প্রবৃত্ত নহেন। ঘরের মেঝের উপর কোনরূপ বিছানা বা যেরূপ ভাবে মাড়োয়ারীগণ গদি বিছাইয়া তাহার উপর উপবেশন করেন, সেই ঘরের ভিতর সেইরূপ ভাবের কোন দ্রব্যই নাই। যাহা আছে, তাহা মাড়োয়ার-পদ্ধতির সম্পূর্ণরূপ বিপরীত। সেই ঘরের ঠিক মধ্যস্থলে একথানি টেবিল রহিয়াছে, একখানি চেয়ারে বসিয়া মাণিকচাঁদ সেই টেবিলের উপর কাগজ-পত্র বিছাইয়া লেখাপড়া করিতেছেন, এবং তাঁহার বাম ও দক্ষিণ দুই পার্শ্বে দুইখানি খালি চেয়ার রাখা আছে।

 টেবিলের উপর যে সকল কাগজ-পত্র ছড়ান রহিয়াছে, তাহার মধ্যে মাডোয়রীদিগের ব্যবহার-উপযোগী কোনরূপ খাতাপত্র নাই, কতকগুলি সাদা ও লেখা ফুলিকেপ কাগজ।

 আমি সেই ঘরের ভিতর প্রবেশ করিবামাত্রই মাণিকচাঁদ বাবুর সহিত আমার সাক্ষাৎ হইল। তখন তিনি সবিশেষ অভ্যর্থনা করিয়া আমাকে তাঁহার বামপার্শ্বের চেয়ারের উপর বসাইলেন। তাহার নির্দ্দেশানুসারে আমি সেই স্থানে উপবেশন করিলে পর, তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কতক্ষণ এখানে আগমন করিয়াছেন?”

 আমি। এখনই আসিতেছি।

 মাণিক। আমার এই স্থান অনুসন্ধান করিয়া লইতে আপনার সবিশেষ কোনরূপ কষ্ট হয় নাই ত?