পাতা:দাশরথি - বিপিনবিহারী রায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেথম সৰ্গ । כי כל দুকূপাতও না করিযী আরক্তনেত্রে রামচন্দ্র সমীপে গমন করিলেন। দশরথ র্তাহার এতাদৃশ উগ্ৰমূৰ্ত্তি নিরীক্ষণ করিয়া, নিম্পন্দভাবে অবস্থিত হইয়া রহিলেন । ভয় ও চিন্তা যুগপৎ ভঁাহার হৃদয়ে অাবিভূত হইল। তিনি কিরূপে আসন্ন বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাইবেন, তাহার কিছুই অবধারণ করিতে না পারিয়া নয়ন মুদ্রিত করিয়া সংজ্ঞাশুন্যবৎ ইষ্ট দেবের আরাধনায় তৎপর হইলেন । ক্ষত্রিয়-কুলান্তকারী জমদগ্নি স্থত পৰশুরাম দশরথাভুজ রামচন্দ্র সদনে উপস্থিত হইয়া সাহঙ্কারে কহিলেন, ক্ষত্রিয় জাতি আমার পরম শক্র । আমি একবিংশতি বীর পৃথিবীকে নিঃক্ষত্রিয়া করিয়া পিতৃতর্পণ পুরঃসর কথঞ্চিৎ সন্তুষ্ট হইয়া ক্ষত্রিয় বংশ ধ্বংসে নিরস্ত ছিলাম; ভাবিয়াছিলাম, পৃথিবী ক্ষত্ৰিয-বীর শূন্য হইয়াছে ; কিন্তু তুমি বালস্বভাব-স্থলভ চিত্ত চাঞ্চল্য বশতঃ সুষুপ্ত ভুজঙ্গকে জাগরিত করিয়াছ । অধিকন্তু ভূতভাবন ভগবান ভবানীপতি আমার গুরু, তুমি তদীয় ধনুর্ভঙ্গে সাহসী হইযtছ । যেমন নদী তীরস্থ বৃক্ষ সকলের মূলদেশের মৃত্তিক তরঙ্গাঘাতে ক্ষয় প্রাপ্ত হইলে সামান্য বায়ু প্রবাহ তাহাকে অনায়াসেই পাতিত করিতে পারে, সেইরূপ