পঞ্চম সৰ্গ । ማ¢ সন্তগুচিত্তে অযোধ্যা হইতে নিক্রান্ত হইলেন, এবং সরযুসলিলে অবগাহন পূর্বক ভিন জনে শোক-জর্জরিত দেহভার বহনে অক্ষম হইয়া, জীবন বিসর্জন করিলেন। লক্ষণের অবয়ব পৃথিবী হইতে বিলুপ্ত হইল । মহারাজ রামচন্দ্র এই সংবাদ শ্রবণ মাত্র লক্ষণ । তুমিও পরিত্যাগ কবিলে ? এই বলিযা ভূমিতলে পতিত ও মুছিত হইলেন । অবশেষে বশিষ্ঠাদি গুকজনের যত্নে ও শুশ্রীষাঘ সংজ্ঞালাভ করিয়া, বহুবিধ পবিতাপ ও বারংবাব দীর্ঘ নিশ্বাস পবিত্যাগ করিতে লাগিলেন । তাহাব নয়ন-যুগল হইতে অবিরল অশ্রুধারা বিগলিত হইতে লাগিল । পবিশেষে লক্ষণকে উদ্দেশ কবিয়া কহিতে লাগিলেন, প্রাণাধিক । শৈশবকালাবধি তুমি আমার একান্ত অনুগত ছিলে, কি গৃহে, কি বনে, কখনও তোমা ব্যতীত কালযাপন কবি নাই ; এক্ষণে তোমাব আদর্শনে কেমন কবিস। প্রাণ ধবণ কবি ল ? প্রাণাধিক । “আমি তোমাকে পরিত্যাগ কবিলাম” এই শেলসম কথা বলি নাই, তবে তুমি আমার সহিত এরূপ ব্যবহার করিলে কেন ? ভ্ৰাত: লঙ্কা-সমবসময়ে তুমি যখন শক্তিশেলে বিদ্ধ হইয়াছিলে, তখন আমি জানকাল উদ্ধাব বাসন পবিত্যাগ পূর্বক তোমাকে
