পাতা:দাশরথি - বিপিনবিহারী রায়.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সর্গ । & মিত্র কহিলেন মহারাজ ! ভবদীয় অনুগ্রহ বলে আমাদের কিছুরই অভাব নাই। অধুনা তাড়ক নাম্নী রাক্ষসীদ্বারা আমাদিগের আরব্ধ যজ্ঞ সমূহের অশেষ বিঘ্ন উপস্থিত হইয়াছে। রামচন্দ্র ও লক্ষণ ব্যতীত অস্তেব তাড়কা-নিধন দুঃসাধ্য । অতএব মহারাজ ! আপনি কৃপা পরবশ হইয়। রাম-লক্ষণকে কিছু দিনের জন্য আমার হস্তে সমপণ করুন । সাধুদিগের জীবন পরহিতার্থে অনুক্ষণ নিয়োজিত থাকে। রঘুবংশীয়ের এইরূপ সাধুশ্রেণীব অন্তভূক্ত ছিলেন । র্তাহারা পরোপকারার্থে প্রাণ পৰ্য্যস্ত পরিত্যাগ করিতেও কাতর হইতেন না। মহারাজ দশরথ অপত্য স্নেহপ্রযুক্ত নয়নানন্দকর পুত্ররত্ন দ্বয়কে নয়নের অন্তরাল • করিতে অনিচ্ছ হইলেও তৎকর্তৃক সূৰ্য্যবংশের দুরপন্যে কলঙ্ক ঘটিবে, কেবল এই ভাবিয়া, প্রাণাধিক রাম-লক্ষণকে বিশ্বামিত্রের হস্তে সমর্পণ করিলেন । তনয়দ্বয় ও পিতৃ চরণে প্ৰণিপাত পুরঃসর বিদায় গ্রহণ করিলেন। মহৰ্ষির আশ্রমপীড়া হইবার আশঙ্কায় নৃপেন্দ্র, কুমারযুগলের সমভিব্যাহারে বহুসংখ্য অনুচর পাঠাইতে বিরত হইলেন । মহারাজ দশরথ অনুচর বর্গকে রাজমাগস্থ আবর্জনারাশি দূরী