পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওদের সকলের কাছে বিদায় নিলাম। গরমশায়টি সত্যিই বড় ভদ্র, তিনি উঠে এলেন। আমাদের সঙ্গে আমাদের সেন্টশনের রাস্তায় তুলে দিতে। -আসবেন আবার-কেমন তো ? বড় কািট হল আপনাদের—কি আর কািন্ট-খব আনন্দ পেয়েচি। আসি তাহলে। খানিকটা চলে এসেচি-দেখি গরমশায় পেছন থেকে আবার ডাকচোন। নীরদ বললে--ছাতি ফেলে আসোনি তো ? -ना, छाऊ स्त्रानशे निগরমশায় হাঁপাতে হাঁপাতে আসচেন পথের বাঁকে। -একটা ভুল হয়ে গিয়েচে--আপনাদের ঠিকানাটা ? যদি মেয়েটার বিয়ে-টিয়ে দিতে পারি মশায়দের চিঠি লিখব, আসবেন আপনারা। বড় খশী হবো। বড় DD DE0 BBYS ট্রেনে উঠে নীরদ বললে, বেশ বেড়ানো হল, না ? --বেশই তো। —গরমশায়ের মেয়েটি বেশ-কি বল ? তোমাদের পালটি ঘর তো-না ? -সে খোঁজে তোমার দরকার কি ? --তাই বলছিলাম। গরীবের মেয়েটি উদ্ধার করা রােপ মহৎ কাজে--কি বাজে কথা বলচো সব! থাক, ওকথা। এরপরে আমরা আর কখনো ওই গ্রামে অবিশ্যি যাইনি-কিন্তু পাঁচ-ছ বছর পরে বৌবাজারে এক দরজির দোকানে একজন লোকের সঙ্গে আমার আলাপ হয়, তার বাড়িও জাঙ্গিপাড়া। কথায় কথায় তাকে তাদের বক্ষধি গরমশায়ের কথা জিজ্ঞেস করে জানি তিনি এখনও বেচে আছেন, মেয়েগালির মধ্যে বড়টিকে অতিকমেট পার করেচেন। কিন্তু অন্য মেয়েগালির আজও কোনো কিনারা করতে পারেননি। অভিজ্ঞতা সঞ্জয় করতে হলে জীবন সম্পবন্ধে-পাড়াগাঁয়ে পায়ে হেটে বেড়ানো উচিত কিছদিন, আমার এইরকম ধারণা। দশদিন কাশমীরে ঘণিঝড়ের মতো ঘরে আসার চেয়ে তা কম শিক্ষাপ্রদ নয়, আনন্দও তা থেকে কম পাওয়া যায় না। এই ধরনের আর একটা অভিজ্ঞতার কথা এবার বলবো। পিসিমার বাড়ি যাচ্ছিলাম পায়ে হোটে। ১৯২৯ সালের জ্যৈষ্ঠ মাস। গ্রীলোেমর ছটিতে তখন আমি আছি। সবগ্রামে। আমি বট তে তুলের ছায়াভরা গ্ৰাম্য পথ। যে গ্রামে যাবো। সেখানে এর আগে একটিবার মাত্র গিয়েছিলাম বছর কয়েক আগে- কাজেই রাস্তা পাছে ভুল হয়, এজন্যে লোকজনকে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করতে করতে চলেচি। একজন বললো---বাগান গাঁ যাবেন, তা অতি ঘরে যাচ্ছেন কেন বাবা ? কাঁচিকাটার খেয়া পার হয়ে সবাইপরের মধ্যে দিয়ে চলে যান না কেন ? তার কথা শানে ভুল করেছিলাম, পরে বাবলাম। প্রথম তো যে রাস্তায় এসে পড়লাম—সে হচ্ছে একদম মেঠোপথ- তার ত্রিসীমানায় কোনো বসতি নেই। তার ওপর রাস্তার কিছ ঠিক নেই, কখনো মাঠের আলের ওপর দিয়ে সারা পথ, কখনো পড়ো জলা আর নলখাগড়ার বন, কখনো শোলা বন। মাঠের গায়ে রৌদ্রও প্রচন্ড। খেয়া পার হয়ে ক্রোশখানেক অতি বিশ্ৰী পথ হোটে অত্যন্ত শ্ৰান্ত হয়ে পড়েচি। দরে একটা বটগাছ দেখে তার তলায় বসে একটা জিরিয়ে নেবো বলে সেদিকে খানিকদরে গিয়ে দেখি আমার আর বটগাছের মধ্যে একটা প্ৰকান্ড S