পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BBD DB BBuBDS DDD DBDDDSDB BD BBBDS BBD DYY গান্ডের গাড়ি অনেক পেছনে, যেতে যেতে ট্রেন ছেড়ে দেবে। মনে মনে ভাবলাম, রাজবাড়ি স্টেশনে ট্রেন এলে রেলপলিসকে বলবো-কিন্তু রাজবাড়ি নেমে আর গোলমালের মধ্যে যেতে ইচ্ছে হল না। মাতালদের সঙ্গে একগাড়িতে ওঠা। আমারই ভুল হয়েছিল। এর পরে যেখানে গিয়ে নামলিম সেটা হল ফরিদপাের। নাম শনে আসচি চিরকাল, অথচ কখনো দেখিনি ফরিদপার-কি ভালো লেগে গেল জায়গাটা । এখানে পািব্ববঙ্গের মেয়েদের স্নেহস্পশ লাভ করবার সৌভাগ্য আমার সব্বপ্রথম ঘটেছিল। কি জানি কেন তখনও মনে হয়েছিল এবং আমার আজও মনে হয়। “পব্ববঙ্গের মেয়েরা উদারতায়, নিঃসঙ্কোচ আত্মীয়তায় ও মনের ঐশ্ববিয্যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের চেয়ে অনেক বড়। লেখাপড়ার দিক থেকেও পািব্ববঙ্গের মেয়েরা আমাদের অঞ্চলের মেয়েদের চেয়ে শিক্ষিতা। এমন সব পরিবার দখোঁচি, তারা আর কিছ না পড়ালেও অন্তত ম্যাট্রিক পাস করিয়ে রাখে। ম্যাট্রিক পাস করে লেখাপড়া শেখার বড় মাপকাঠি না হতে পারে, কিন্তু পিতামাতা যে মেয়েদের শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন, এটকুও তো তা থেকে বোঝা যায়। ফরিদপর ডাকবাংলোয় গিয়ে উঠবার আগে আমার মনে পড়লো আমহাসন্ট সেন্ট্রীটের মেসে যে অমক বাব থাকতেন, তাঁর বাড়ি ফরিদপাের, দেখি তো খোঁজ করে। দেখা পেলাম এবং ভদ্রলোক (বন্ধ ঠিক নন, কারণ এর পঝেবর্ণ তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল সামান্যই) আমাকে তাঁর বাড়ি নিয়ে গেলেন। বাড়ি যাবার এক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর মা আমাকে বাড়ির মধ্যে নিয়ে গিয়ে বসালেন। এমনভাবে আলাপ করলেন, যেন আমি কত কালের পরিচিত। তিন দিন সেখানে ছিলাম, কাজ শেষ করে বিকেলের দিকে সন্টীমারে ফরিদপর থেকে বেরবো, ঘোড়ার গাড়ি ডেকে নিয়ে বাসার জিনিসপত্র তুলতে এলাম। বাইরের যে ঘরটাতে থাকি, সেটাতে ঢকে দেখি বন্ধটির দিদি আমার বিছানাটা বেশ ভালো করে ঝেড়ে পেতে দিচ্চেন। মশারিটা টান টান করে টাঙিয়ে দেবার চেন্টায় আপাতত তিনি খাবে ব্যস্ত। আমি বন্ধর দিদির সঙ্গে তত বেশি আলাপ করিনি। ইতিপকেব। তিনি বিধবা, বয়েসও খাব বেশি নয়। তাঁকে দেখে আমি সমীহ করে ঘরের বাইরে চলে যাচ্চি, উনি বললেন—চা না খেয়ে যেন আর কোথাও বেরবেন না। আমি বললাম-দিদি, আমি গাড়ি এনেচি ডেকে, টেপাখোলা গিয়ে সন্টীমার ধরবো । তিনি একটা অবাক হয়ে বললেন-আজই ? কেন ? হেসে বলি-পরের চাকরি দিদি, থাকবার কি যো আছে— দিদি স্নেহের সরে জোর গলায় বললেন- আজ ভরা আমােবস্যে, আজ। আপনার যাওয়া হতেই পারে না—আজি থাকুন আমি অবাক হয়ে ও’র মাখের দিকে চাইলাম। নিজের বোনের মতো সহজ সরল দঢ় আত্মীয়তার সাের। কোথাকার কে আমি, নামধাম জানা নেই, দদিনের মেসের বন্ধ ও’র ভাইয়েরতাও কতদিন আগের ! যেতে মন সরলো না। গাড়ি সেদিন ফিরিয়ে দিলাম। ܠܠ