পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—খাইনি কখনো। তবে একবার খেয়ে না হয় দেখতুম। আর নাপি ? সেটা दा ८2ी ८कन्म ? --নাপি সব সময় বা সকল ভোজে খায় না। ও এক ধরণের চাটনি হিসেবেই খাওয়া হয়। নাপি টেবিলে দিলে আপনি উঠে পালাতেন। -दा७ाव्य-झाक्षा आनाब्रा उाgन्न ? -আমাদের রান্না একটাও নয়। বাঙালী বাবচি দিয়ে সব রাঁধানো। আমরা পোলাওটা রাঁধতে পারি। মংড় বাংলা দেশের কাছে, অনেক বাঙালী এখানে থাকেন, আমাদের খাওয়াদাওয়া অনেকটা বাঙালী ধরণের হয়ে গিয়েচে । হাসিগলেপর মধ্যে খাওয়া শেষ হল। পরদিন আমি ওঁদের একটি বাঙালী হোটেলে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালাম। ওঁদের সঙ্গে এত আলাপ হয়ে গিয়েছিল একদিনে যে, সাতদিন পরে যখন মংড ছেড়ে চলে আসি তখন সত্যিই বড় কািট হয়েছিল। ওঁদের ছেড়ে আসতে। আসবার সময় মিঃ মৌংপো মেয়ে দটিকে নিয়ে জাহাজঘাটে আমায় বিদায় দিতে এলেন। মৌংকেট একটা সাদশ চন্দনকাঠের ছোট বাক্স ভত্তি সমদ্রের কড়ি, ঝিনােক আমায় উপহার দিলেন। দঃখের বিষয় এই বাক্সটি সেইবারেই ঢাকা আসবার সময় ট্রেনে খোয়া যায়। মংড থেকে চাটগাঁ ফিরে আমার পকাব পরিচিত সেই ভদ্রলোকের বাড়িতে এসে উঠলাম। এই উপলক্ষ্যে একটা কথা আমার এখনও মনে আছে। চট্টগ্রাম আমার কাছে তো বহদির বিদেশ, কিন্তু যখন ডবল মরিংস জেটি থেকে ঘোড়ার গাড়ি করে, ওদের বাড়ি যাচ্চি, তখন মনে হল যেন অনেকদিন পরে বাড়ি ফিরলাম। ওদের সেই বৈঠকখানার পাশেই মালী বাঁশের চাঁচে ছাওয়া ছোট্ট ঘরখানি আমার কত প্ৰিয পরিচিত হয়ে উঠেছিল, যেন আমার কতদিনের গহি সেটি। উঠানের বাতাবিলেব, গাছের ছায়া যেন কতকালের পরিচিত আশ্রয়। পথে পথে অনেকদিন বেড়িয়ে এই ব্যাপারটি আমি লক্ষ্য করেচি, মন যেখানে এতটকু আশ্রয় পায় সেইখানেই তার অাঁকড়ে ধরে থাকবার কেমন একটা আগ্রহ গড়ে ওঠে। সে আশ্রয় যখন চলে যায়। তখন মন আশ্রয়ান্তরে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে অত্যন্ত সহজে ও অবলীলাব্রুমে। একটা ছবি আমার এই সম্পকে বহদিন মনে ছিল। . যখন চাটগাঁ আসাঁচ সন্টীমারে, দরি থেকে দেখতে পেলাম কর্ণফলির মোহানার বাইরে সমাদের মধ্যে একখানা বড় পালতোলা জাহাজ নোঙর করা আছে। নীল সমাদের মধ্যে বহন্দরে থেকে জাহাজখানা দেখাচ্চে যেন একটি দাবীপের মতো, যেন অকল সমদ্রের কালে দঃখসখবিজড়িত একটি ক্ষদ্র গহিকোণ ; তার সাদা ভাঁজকরা: গোটানো পালগলো, লক্ষ্যবা লম্বা মাসতুলগালো আর মস্ত বড় কালো খোলটা আমার মনে বহদিন পথায়ী রেখাপাত করেছিল। চাটগাঁয়ে ওদের বাড়ি আসতে ওরা আমাকে সাগ্রহ। অভ্যর্থনা করলে—মলী বাঁশে ছাওয়া সেই ছোট ঘরটাতে আবার বিছানা পেতে দিলে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের, হনুমন্ড থেকে বৰ্ম্মিজ পড়ল ও খেলনা এনেছিলাম--তারা সেগুলাে পেয়ে খাব শা। একদিন বাড়ির কত্তা বললেন, চলন সীতাকুন্ড যাবেন ? আপনি তো চন্দ্রনাথ যাননি, অমনি চন্দ্রনাথও ঘরে আসবেন, এ অঞ্চলে এসে চন্দ্রনাথ না দেখলে বাড়ি ফিরে লোককে বলবেন কি ? পরদিন সকালের ট্রেনে দজনে গিয়ে নামলিম সীতাকুন্ডে। 9.