আমি যেতেই বললে, বােব আপনার জন্যে চায়ের জল চড়ানো রয়েচে, বসন বেশ আরাম করে। আমার সত্ৰীকে বলে দিয়েচি, বাবার সামনে বেরবে, কথা বলবে তাতে কি ! উনি তো আমাদের যজমান, বাড়ির লোক। আমি বললাম-ঠিক, উনি তো মায়ের মতো। আমার সামনে আসবেন, এ আর বেশি কথা কি। কিছশক্ষণ পরে পান্ডাঠাকুরের সন্ত্রী চা নিয়ে ঘরে ঢাকলেন। বয়েস তেইশ-চৰিবেশ, একহারা গৌরবণা মেয়ে। মোটা লালপাড় শাড়ি পরনে। আমায় চাটগাঁয়ের বলিতে যা বললেন তার মন্ম এই যে, আমি রাত্ৰে ভাত খাই, না। রাটি খাই ? আমি বললাম-যা-ইচ্ছে করন মা, আমার খাওয়ার কিছু বাঁধাবধি নেই। আর কিছ না বলে তিনি ঘর থেকে চলে গেলেন। যেন কত সঙ্কুচিত, লভিজাত হয়ে আছেন নিজেদের আতিথ্যের ত্রটির জন্যে। বাড়বকুন্ডে দেখোঁচি, এখানেও দেখলাম। এই সব দরিদ্র পান্ডাঠাকুরেরা অত্যন্ত সৎ ও ভদ্র। সদর চট্টগ্রাম অঞ্চলের ক্ষদ্র পল্লীতে বাস করে বলে এরা নিতান্ত অনাড়ম্বর, সরল। বাইরের জগৎ সম্পবন্ধে বিশেষ কোনো খবর এরা রাখে না। একটা পরেই সেটা কি চমৎকার ভাবেই ফটে উঠেছিল পান্ডাঠাকুরের কথাবাৰ্ত্তার মধ্যে। রাত্রে আহারাদির ব্যবস্থা এ অঞ্চলে সব জায়গায়। যেমন দেখোঁচি তেমনি । প্রথমে শােধ ভাত আর এক বাটি ডাল। অন্য কিছই নেই এর সঙ্গে। ডাল দিয়ে মেখে কিছ ভাত খাওয়ার পরে এল বেগােন ভাজা। শকিনো ভাত "দিয়ে বেগােন ভাজা খেতে হবে। তারপর গাড়ি কচার তরকারি, কিন্তু তাতে এত সাংঘাতিক ঝাল দেওয়া যে আমার পক্ষে তা খাওয়া সম্পভব হল না। খাওয়ার পর্ব এখানেই শেষ । রাত্রে পান্ডাঠাকুর আমার কাছে বসে নানারকম কথা বলছিলেন। আমি কলকাতা থেকে যখন এসেচি, তখন তাঁদের কাছে যেন কোনো অদম্পট-পৰব জীব। কলকাতায় যারা বাস করে, তারা সবাই খব বিম্ববান আর খাব ধনী। বোধ হয়। আমি কোনো ছদ্মবেশী ক্রোড়পতি হবো। আমায় বললেন, আপনি কলকাতার কোন জায়গায় থাকেন ? --Reis (a কোথায় কাজ করেন। বাবা ? কেশোরাম পোদ্দারের আপিসে। কত টাকা মাইনে পান ? --उन्Igeा प्रेका । কথার মধ্যে সত্য ছিল না। মাইনে পেতুম পঞ্চাশ টাকা। - বাব বেশ বড়লোক। আমি বিনীত হাসের সঙ্গে মাথা নিচ করে রইলাম। --বাবার কি কলকাতায় বাড়ি ? - エ --ক-খানা বাড়ি আছে ? རྒྱུས་ཡཟག་ཁཀཆག ། ভাড়াও পাই মাসে মাসে প্রায় তিনশো টাকা। [ 2ܪܥܚ-ܒ݂ আমার মাখে পােনরায় লতাজা ও বিনয়ের হাস্যরেখা ফটে উঠলো। -বাব, আপনি যখন আমার বাড়ি এলেন, তখন আপনার চাল-চলন ধরন-ধারণ SR