—আমি বি-এ পাস করেছিলাম-আর পড়া ঘটেনি। —কি করেন এখন বাবা ? -একটা চাকরি করি, তাতে বেড়িয়ে বেড়াতে হয়। সেজন্যেই তো আপনাদের দেশে এসে পড়েচি —খব ভালো হয়েচে এ গরিবদের দেশে এসেচেন। আপনারা কলকাতার কলেজের ভালো ছেলে, আপনাদের মখের ভাষাই অন্যরকম। বড় ভালো লাগে হেডমাস্টারবাবর মাখের বাংলা আর ইংরিজি শািনতে। এ রকম এদেশে কখনও শোনেনি এই দটি শিক্ষক দেখলাম আমার বন্ধর সমস্ত কাজ করে দেয়। ওরাই চা করে আমাদের খেতে দিলে, আবার তামাক সেজে দিলে, একজন গিয়ে বাজার থেকে পান নিয়ে এল, কারণ পান ফরিয়ে গিয়েছিল। ওরা অনেক রাত পয্যন্ত রইল। সন্ধ্যার পরে ওরা আমার বন্ধকে বললেমাস্টারবাব, তাহলে আপনি বসন, বাবার সঙ্গে কথা বলন, আমরা দজনে খাবারটা তৈরী করে ফেলি। আমি বললাম, কেন, বোডিং-এর ঠাকুর নেই ? —আছে, তা উনি ঠাকুরের হাতে খান না। নিজেই রাঁধেন, আমরা যোগাড়-যন্ত্র করে দিই— —বোডিং-এর চাকরে সে সব কাজ করে না ? —-চাকর নেই। এ বোডিং-এ। ছেলেরা নিজেদের কাজ নিজেরা করে। আমি বন্ধকে বললাম, চলো আমরাও রান্নাঘরে গিয়ে বসি। রান্নাঘরে আমরা এসে বসলাম বটে, কিন্তু সেখানে আমাদের জন্য ময়দা মাখা, রটি সেকা, তরকারী রাঁধা প্রভৃতি যাবতীয় কাজ করলে শিক্ষক দটি। আমার বন্ধ বেশ চাপ করেই বসে রইলেন-ওদের কাজে এতটকু সাহায্য করলেন না। এমনভাবে ওদের সেবা নিলেন, যেন এ সেবা তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য। ব্যাপার দেখে মনে হল রোজই এই ব্যাপাের চলে-শিক্ষক দটিই প্রতিরাত্রে হেডমাস্টারের রান্নাবান্না করে দিয়ে যায়। আমাদের পরিবেষণও করলে ওরা। ড্রইং মাস্টারটি আমায় বললে, আপনি কিছ খাচ্চেন না কেন বাবা ? ভালো द6 2ाक । কত যত্নে ওরা আমায় বসে খাওয়ালে। হেডমাস্টারের বন্ধ, সতরাং আমিও ওদের খাতিরের ও খোেশামোদের পাত্ৰ-অমন যত্ন আমার আপনার জনও বোধ হয় কোনদিন করেনি। রাত্রে ওরা বাড়ি চলে গেল। যাবার সময় আমাদের জন্যে পান। পয্যন্ত সেজে রেখে গেল। আমি কিছদার গেলাম। ওদের এগিয়ে দিতে। ড্রইং মাস্টারটিকে দেখে মনে কেমন অন কম্পা জাগে। যেমন নিরীহ তেমনি দরিদ্র। কাপড়চোপড় বেশি নেই, একটা আধময়লা পিরানের ওপর একটা উড়নি, একখানা আধময়লা মোটা ধতি, এই ওর পরিচ্ছদ। আমি মাঠের মধ্যে গিয়ে ওকে বললাম-আপনার বাড়ি কোথায় ? -এই কাছেই, শাীি বপাড়া গ্রাম। —কতদিন স্কুলে আছেন ? —তা প্রায় সাত বছর আছি বাবা। --কিছ মনে করবেন না-এখানে কত পান ? 也á ग्रिन्व्° s-उत्राऊबंदक-é
