--তার মানে কি জানো, তখন ছিলাম। সদ্য কলেজের ছোকরা, রক্ত বেজায় গরম, এখন ক্রমশ অভিজ্ঞতা হুবারা অনেক বঝচি। অভিজ্ঞতা না হলে কিছ হয় না। জীবনে। -সে কি হে ? জীবনে অভিজ্ঞতা তো হবেই। তাই নিয়েই তো জীবন। এক জায়গায় যদি চপটি করে বসেও থাকো বেচে, তা হলেও অভিজ্ঞতা আটকায় কে। কি বঝলে অভিজ্ঞতায় ? —বাঝলাম। এই, জীবনে যদি কিছ দিতে হয় তবে নিজনে ভাবার দরকার বড় বেশি। পড়ার চেয়েও অনেক বেশি। এখানে এই নিজজন জায়গায় আজ দািবছর একা বাস করে অনেক বদলে গিয়েচি হে—অনেক কিছ বঝেচি। —কিন্তু যার মাথায় কিছ নেই—দনিয়ার কোন খবর রাখে না, তার চিন্তার भव्ना कि झाँgाव ? —অন্তত আমার সম্পবন্ধে তুমি একথা বলতে পারো না। আমি এখন যদি চিন্তা করি, তার খানিকটা মাল্য অন্তত আমার কাছেও দাঁড়াবে। আমার নিজের জীবন সম্পবন্ধে-পরের কথা আমি ভাবিনে, নিজের জীবনের কথা। অনেক কাজ হয়। এতে । —কোন বিষয় ভালো লাগে পড়তে ? -পলিটিকস সম্পবন্ধে জানিবার বড় ইচ্ছে। আগে এই জিনিসটা ভালো করে পড়িনি—এখন মনে হয়, না পড়ে ভালো করিনি। —দেশের পলিটিকস ? না বিদেশের পলিটিকস ? --সব দেশেরই—বিশেষ করে নিজের দেশের। —আমার মত এসব সম্পবন্ধে অন্য রকম। —কি শনি তোমার মত ? —আমার মতে ইউনিভাসিকে বঝতে চেন্টা না করলে মানষের কিছই হল না। --—গ্রহ-নক্ষত্র, এই সব ? —শধ গ্রহনক্ষত্র নয়, সব কিছ। পশপক্ষী, গাছপালা, পথিবী, গ্রহনক্ষত্র, Space —এক কথায় আমাদের জীবনের গোটা পটভূমিই। ইউনিভার্সকে না বােবলে তার স্রস্টার সম্পবন্ধে কিছই বোঝা যাবে না। ভগবানের বিরাট ঐশবযারপেটা আগে প্রত্যক্ষ করি—তারপর তাঁর সম্পবন্ধে ভাববো। আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল। স্কুলের সামনের ফাঁকা মাঠে একটা বেশিশুর উপর বসে। সময়টা ছিল সন্ধ্যার কিছ পরেই। মাঠভগ্না জ্যোৎস্না সেদিন, এখানে দএকটি ক্ষীণ তারা আকাশের গায়ে, জ্যোৎসনা পড়ে সবজি বেতের ঝোপ চিক চিক as অনেকদিন এমন ফাঁকা মাঠের মধ্যে বসে বন্ধর সঙ্গে কথা বলিনি। দাজনেরই মনে বোধ হয় একথা উঠেছিল, কারণ আমার বন্ধটি চারিদিকে চেয়ে বললেন-কেমন জায়গাটা, ভালো নয় হে ? -চমৎকার। এখানে এতদরে ঢাকা জেলায় চাকরি পেলে কি করে ? -খবরের কাগজে দেখে দরখাস্ত করেছিলাম, আমাকে এরা তখনি অ্যাপিয়েণ্টমেগািট দিল। —এখানে কতদিন থাকবে ? —যতদিন না। অন্য কিছ একটা পাই। কলকাতার কাছে যাবার বড় ইচ্ছে-আমি কিন্তু তোমার এই জায়গা বেশ পছন্দ করেচি। এই রকম ফাঁকা জায়গায় বাস করবার খাব ইচ্ছে আমার মনে, যদিও কখনো হয়নি। y
