পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—দেশ থেকে দরে যত যাবে, তত landscape -এর প্রকৃতি তোমার কাছে রোমাণ্টিক হয়ে উঠবে। ভ্ৰমণকারী ও explorer --রা এটা ভালো বঝতে পারে। বরফ ইংলন্ডেও জমে শীতকালে, তবে নর্থ পোলের বরফ মনে অন্য রকম ভাব জাগায়। একই বাঁশবন দেশের খালের ধারে দেখচো অথচ ইরাবতীর পাহাড়ী ধারে সেই একই বাঁশবন দেখো-বাঝতে পারবে কি ভীষণ তফাত। এবারকার ভ্রমণে, আমি তা ভালো বঝতে পেরেচি। কতবার দরদেশের পাহাড়ের ওপর, সমদ্রের ওপর, সমাদের ধারে, কিংবা বনের ছায়ায় বসে দেশের কথা ভেবে দেখোঁচ-অপব্ব চিন্তা জাগায় মনে। সঙ্গে সঙ্গে চারিপাশের প্রকৃতি কি অপব্ব রােপই না ধরে চোখের সামনে। এ হল মনের রসায়ন, বোঝাতে পারিনে মখে। অভিজ্ঞতার দাবারা বঝতে হয়। শনলে বোঝা যায় না। আমার বন্ধ হো হো করে হেসে উঠে বললেন-এ যে তুমি esoteric তথ্যের দলে নিয়ে গিয়ে ফেললে দেখচি। তোমাদের মতো লোককে লক্ষ্য করেই রবীন্দ্রনাথ ‘বাতায়নিকের পত্রে’ লিখেছিলেন 'মাথার ওপর যে আকাশ নীল। তাই দেখতে ছাটে যাই এটোয়া কাটোয়া”-ওই ধরনের কিছল। অস্বীকার করতে পারো ? —এ হল অনভিতির ব্যাপার, সতরাং স্বীকার করিনে অস্বীকারও করিনে। যাই হোক, তোমার ভালো লাগচে কি না বলো। —কেন ভালো লাগবে না ? তুমি এখানে থেকে যাও, দিই না। আমার সবুকুলে একটা মাস্টারি জটিয়ে। এ কথায় স্কুলের শিক্ষক দটি খাব উৎসাহিত হয়ে উঠলেন। খব ভাল হয় তা হলে, হেডমাস্টারবাব চেন্টা করলে এখনি হয়ে যায়। স্কুলের কমিটি কিছ নয়, সবই হেডমাস্টারবাবার হাত। আমাকে তারা দজনে বিশেষ করে অন্যুরোধ করলে, १थ65 यादाद 96y । রাত আটটার সময় আমরা সবাই ফিরলাম বোডিং-এ। ড্রইং মাসটার বললে—তাই তো, আমার সকাল সকাল উঠে আসা উচিত ছিল, এখন দেখচি খেতে আপনাদের অনেক রাত হয়ে যাবে। ওরা রীটি করতে বসলো রান্নাঘরে। আমরা কাছে বসে আগে এক পেয়ালা করে চা খেলাম। ওরাই করে দিলে। আমার কতবার মনে হল কি সন্দির লোক এরা । পরের জন্যে অক্লান্ত সেবা করে যাচ্চে দিনের পর দিন-কোনো দিন এতটকু বিরক্ত 3 का । আমার বড় মনে ছিল এই নিরীহ শিক্ষক দটির কথা। মাটি দিয়ে মানষি গড়লেও বোধ হয় এত নিরীহ, ভালেমানষে, এত বিনয়ী হয় না। যেদিন নরসিংদি ছেড়ে চলে আসি, ওদের দজনকে ছেড়ে আসবার কােটই আমার বড় বেশি হয়েছিল। আমাকে পরদিন স্কুলের অন্যান্য মাস্টার এবং ছাত্রেরা মিলে নিমন্ত্রণ করলেআমাকে ও হেডমাস্টারকে নিয়ে তারা একসঙ্গে বসে খাবে। আবার সেইদিনই ড্রইং মাস্টারটি আমাকে চায়ের নিমন্ত্রণ করে তার বাড়ি নিয়ে গেল। আমার বন্ধকেও বলেছিল, কিন্তু সেই সময়ে স্কুল কমিটির মিটিং ছিল বলে তার যাওয়া হয়নি। শাটিরপাড়া গ্রামে এই প্রথম ঢাকি। ঢাকা জেলার অজ পল্লীগ্রাম কেমন দেখবার সংযোগ এর আগে কখনো হয়নি। গ্রামের মধ্যে ছোটবড় বেতঝোপ বন্ড বেশি, টিনের ' AO