পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইদারার জল। তবও অনেকটা ভালো। বস্তির মাঝখানে যে, ছোট পাকুর দেখে এসোিচ তার জল হলে আমাদের জল ব্যবহার পথগিত রাখতে হত। -आ°न्माद्रा आफ्नो थाटदन्ा, ना छाठू ? —যা আপনাদের সবিধে হয়। তবে আটাই বোধ হয়-আচ্ছা আচ্ছা, বাবজি। আপনারা চপ করে বসে বিশ্রাম করন—আমি সব ‘বন্দোবস্ত করে দিচ্চি। ওরা আমাদের জন্যে রাঁধবার বন্দোবসত করে দিলে। সে এক হিসেবে ভালো বলেই মনে হল আমাদের কাছে। নিজের চোখে জিনিসগলো দেখে ধয়ে বেছে তবও নিতে পারা যাবে। এদের আতিথ্য অত্যন্ত আন্তরিক ও উদার-এদের সারল্য অন্তরকে সপেশী না করে পারে না—কেবল মনে হয়, যদি কেউ এদের সবাস্থ্যের বিধি-নিষেধগলো বলে MGRITS QTKS(VOT I আমরা পাশের একটা ছোট চালায় রান্না চড়ালাম। গ্রামের লোকে অনেকে এসে উপকিঝকি দিয়ে দেখতে লাগলো আমাদের রান্না। আল ও লাউ-এর তরকারি। আর আটার রাটি। চাটনির জন্যে ছিল চকো পালং, কিন্তু আমরা চাটনি কি করে রাঁধতে হয় জানিনে। হেমেন বললে-তার অনেক হাওগাম, সতরাং চাটনি রান্না বন্ধ রইল। দজনে পরামর্শ করে অতিকন্টে লাউ-এর তরকারি নামালাম। এদের কাছে ধরা না “পড়ি যে, আমরা রান্না জানি না। কথাবাত্তা চললো খাওয়া-দাওয়ার পরে। এই অঞ্চলের পল্লীজীবনের অনেক তথ্য সংগ্রহ করা গেল ওদের কাছ থেকে। গ্রামের সব লোকই চাষী-গম ও ভুট্টা এই দটি প্রধান ফসল। অধিবাসীরা সবাই হিন্দ, তার মধ্যে অধিকাংশ দোশাদ অর্থাৎ মেথর, বাকি সকলে কুম্পিম-একঘর রাজপতি। লেখাপড়া বিশেষ কেউ কিছ জানে না, ব্যবসাবাণিজ্য কেউ করে না, বেশিদর কেউ যায় নি কখনো গ্রাম ছেড়ে। আমাদের গহস্বামী ওদের মধ্যে কিছ এলেমদার-জমিজমা-সংক্রান্ত মামলাতে সে গ্রামসদ্ধ লোকের “পরামর্শদাতা ও দলিল লেখক। মামলা-সংক্রান্ত ব্যাপারে সে বারিকয়েক মঙ্গের ও পাটনা গিয়েচে । এদের প্রধান খাদ্য আটার রীটি ও মকাই-এর ছাতু। তরকারির মধ্যে জন্মায় রামতরই, পটল, বেগন, কয়েক প্রকারের শাক, সকরকন্দ আল। গোল আলী ও কপি এ অঞ্চলে জন্মায় না-ওসব দম্পমাল্য শৌখিন তরকারি এরা নাকি তত পছন্দও করে না । প্লেগ গত দাতিন বৎসর দেখা দেয় নি—তার বদলে দেখা দিয়েছিল কলেরা। অনেক লোক মরেছিল। আমরা বললাম—ডাক্তার নেই। এখানে ? —না বাবা, কিউল থেকে আনতে হয়—তা অত পয়সা খরচ করে সবাই তো “পারে না । —কলেরার সময় কি করো ? —গতবার গভর্নমেণ্ট থেকে একজন ডাক্তার পাঠিয়েছিল। এই ধরনের বহ অশিক্ষিত পল্লী নিয়ে বিহার ও বাংলা। শহরে বাস করে জাতির দঃখদ দদশা জানা সম্পভব নয়। বাংলা ও বিহারের বহরস্থান এখনও মধ্যযোগের আবহাওয়ায় নিশবাস প্রশবাস গ্রহণ করে—কি শিক্ষায়, কি মতামতে, কি জীবিকাভজনের প্রণালীতে। উড়িষ্যার একটি নিভৃত পল্লী-অঞ্চলে একবার দেখবার সহযোগ ঘটেছিল, সেখানেও এইরকমই দেখেচি। তবে আমার মনে হয়েচে বিহারী পল্লী bf○