পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y) o দিবারাত্রির কাব্য মা’র মনে একটা ভয়ানক কষ্ট আছে। একবার পাগল হয়ে যেতে বসেছিল। এই কষ্টের জন্যে ।” “কিসের কষ্ট ? আনন্দ বিষঃ চিন্তিত মুখে গোলাকার আলোর শিখাটির দিকে তাকিয়ে ছিল। চোখ না ফিরিয়েই বলল, “মা বাবাকে ভয়ানক ভালৱাসে । বাবা যদি দু’দিনের জন্যও কোথাও চলে যান, মা ভেবে ভেবে ঠিক পাগলের মত হয়ে থাকে । বাবা কিন্তু মাকে দু’চোখে দেখতে পারেন না । আমার জ্ঞান হবার পর থেকে একদিন বাবাকে একটি মিষ্টি কথা বলতে শুনি নি।” হেরম্ব অবাক হয়ে বলল, “কিন্তু মাষ্টারমশায় তো কড়া কথা বলবার লোক নন।” ‘রেগে চেচামেচি করে না বললে বুঝি কড়া কথা বলা হয় না ? আপনার সামনে মাকে আজ কিরকম অপদস্থ করলেন দেখলেন না ? চব্বিশ ঘণ্টা এক বাড়ীতে থাকি, মা’র অবস্থা আমার কি আঁর বুঝতে বাকী আছে। এমনি মা অনেকটা শান্ত হয়ে থাকে। মুদ খেলে আর রক্ষা নেই। গিয়ে বাবার সঙ্গে ঝগড়া সুরু করে দেবে। শুনতে পাবার ভয়ে আমি অবশ্য বাগানে পালিয়ে যাই, তবু দু’চারটে কথা কানে আসে তো । আমার মন এমন খারাপ হয়ে যায়।” ক্ষণিকের অবসর নিয়ে আনন্দ আবার বলল, “বাবা এমন নিষ্ঠুর !” কাত হয়ে আনন্দের বালিশে গাল রেখে হেরম্ব শুয়েছিল । বালিশে মৃগানভির মৃদু গন্ধ আছে। মালতীর দুঃখের কাহিনী শুনতে শুনতেও সে স্মরণ করবার চেষ্টা করছিল। কিন্তুরীগন্ধের সঙ্গে তার মনে কার