পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য > o R স্মৃতি জড়িয়ে আছে । আনন্দের উচ্চারিত নিষ্ঠুর শব্দটা তার মনকে আনন্দের দিকে ফিরিয়ে দিল । “নিষ্ঠুর ?” “ভয়ানক নিষ্ঠুর । আজ বাবার কাছে একটু ভাল ব্যবহার পেলে মা মদ হেঁয় না । জেনেও বাবা উদাসীন হয়ে আছেন। এক এক সময় আমার মনে হয়, এর চেয়ে বাবা যদি কে ? : {}, 5ল চলে যেতেন তাও * ভাল ছিল । মা বোধ হয় তাহলে শান্তি পেত ।” বাবা যদি কোথাও চলে যেতেন ! “ত: , নদী ও তা হলে প্ৰয়োজন উপস্থিত হলে নিষ্ঠুর চিন্তাকে প্রশ্রয় দিতে পারে ? সালতীর দুঃখের চেয়ে আনন্দের এই নূতন পরিচয়টিই যেন হেরম্বের কাছে প্ৰধান হয়ে থাকে । তার নানা কথা মনে হয় । মালতীর অবাঞ্ছনীয় পরিবর্তনকে ‘তানন্দ যথোচিতভাবে বিচার করতে অক্ষম নয় জেনে সে সুখী হয়। মালতীর অধঃপতন রহিত করতে অনাথকে পৰ্যন্ত সে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেবার ইচ্ছা পোষণ করে, মালতীর দোষগুলি তার কাছে এতদূর বৰ্জনীয়। মাতৃত্বের অধিকারে যা খুন্সী করার সমর্থন আনন্দের কাছে মালতী পায় নি। শুধু তাই নয়। আনন্দের আরও একটি অপূর্ব পরিচয় তার মালতী সম্পৰ্কীয় মনোভাবের মধ্যে "শু,াবিদার করা যায় । মালতীকে সে দোষী বলে জানে, কিন্তু সমালোচনা করে না, তাকে সংস্কৃত ও সংশোধিত করবার শতাধিক চেষ্টায় অশান্তির সৃষ্টি করে না । মালতীকে কিসে বদলে দিয়েছে আনন্দ তা জানে । কিন্তু জানার চেয়েও যা বড় কথা, মনোবেদনার এই বিকৃত অভিব্যক্তিকে সে বোঝে, অনুভব করে। জীবনের এই যুক্তিহীন অংশটিতে যে অখণ্ড মুক্তি আছে, .