পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবা/রাত্রির কাবা > oV2 মিথ্যা । বিচারে হয়ত ভুল আছে। হয়ত জয়-পরাজয়ের প্রশ্নই ওঠে না । হেরম্বের মন যখন এই আশ্বাসকে খুজে পেয়েও সন্দিগ্ধ পরীক্ষকের মত বিচার করে না দেখে গ্ৰহণ করতে পারছে না, আনন্দ তার চিন্তায় বাধা দিল । আনন্দের হঠাৎ মনে পড়ে গিয়েছে, সিডিতে বসে হেরম্বকে একটা কথা বলবে মনে করেও বলা হয় নি । কথাটা আর কিছুই নয়। প্ৰেম যে একটা ত স্থায়ী জোরালো নেশা মাত্র হেরম্ব এ খবর পেল কোথায়! একটু আগেও একথাটা জিজ্ঞাসা করতে আনন্দের লজ্জা হচ্ছিল। কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য দেখুন ক্ষে রুম্ববাবু, এখন তার একটুও লাজ করছে না । “আপনাকে সত্যি কথাটা বলি । সন্ধ্যার সময় আপনাকে যে বন্ধু বলেছিলাম, সেটা বানানো কথা । এতিক্ষণে আপনাকে বন্ধু মনে হচ্ছে।” “এখন কত রাত্ৰি ?” “কি জানি। দশটা সাড়ে দশটা হবে। ঘড়ী দেখে আসব ?” “থাক । আমার কাছে ঘড়ী আছে । দশটা বাজতে এখনো তেরো মিনিট বাকী ” আনন্দ বিস্মিত হয়ে বলল, “ঘড়ী আছে, সময় জিজ্ঞেস করলেন যে ?” হেরম্ব হেসে বলল, “তুমি ঘড়ী দেখতে জানা কিনা পরখ করছিলাম। মালতী-বৌদির সাড়া শব্দ যে পাচ্ছি না ?” আনন্দও হাসল। বলল, “অত বোক নই, বুঝলেন ? এমনি করে আমার কথাটা এড়িয়ে যাবেন, তা হবে না। রোমিও জুলিয়েট বেঁচে