পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য SSN বাগানে তরুতলের রহস্য আরও ঘন আরও মৰ্ম্মস্পর্শী হয়ে উঠেছে। আনন্দ যে ঘাসের জমিতে নাচবে সেখানে জ্যোৎস্না পড়েছে। আর পড়েছে। দেবদারু গাছটার ছায়া । সমুদ্রের কলরব ক্ষীণভাবে শোনা যাচ্ছে। রাত্রি আরও বাড়লে, চারিদিক আরও স্তব্ধ হয়ে এলে, আরও স্পষ্টভাবে C*|| ८ | পৃথিবীতে চিরদিন এই সঙ্কেত ও সঙ্গীত ছিল, চিরদিন থাকবে। মাঝখানে শুধু কয়েকটা বছরের জন্য নিজেকে সে উদাসীন করে রেখেছিল। সে মরে নি, ঘুমিয়ে পড়েছিল মাত্র। ঘুম ভেঙ্গে, দুঃস্বপ্নের ভগ্নস্তৃপকে অতিক্রম করে সে আবার স্তরে স্তরে সাজানো সুন্দর রহস্যময় জীবনের দেখা পেয়েছে। যে স্পান্দিত বেদন প্রাণ ও চেতনার একমাত্র পরিচয় আজ আর হেরম্বের তার কোন অভাব নেই । হেরম্ব মন্দিরের সিড়িতে বসল। আনন্দের প্রতীক্ষায় অধীর হয়ে বাড়ীর দরজায় সে চোখ পেতে রাখল না। আনন্দ বেশ পরিবর্তন করেই বাইরে এসে তাকে নাচ’ দেখাবে, চঞ্চল হয়ে ওঠার কোন কারণ নেই। এই সংক্ষিপ্ত বিরহাটুকু তার বরং ভালই লাগছে। আনন্দ যদি আসতে দেৱীও করে সে ক্ষুন্ন ३२ ● । আনন্দ দেরী না করেই এল । চাদের আলোয় তাকে পরীক্ষা করে দেখে হেরম্ব বলল, “তুমি তো কাপড় বদলাও নি আনন্দ ?” “না। শুধু জামা বদলে এলাম। কাপড়ও অন্যরকম করে পরেছি বুঝতে পারছেন না ?” ‘বুঝতে পারছি।” .