পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"> > ○ দিবরাত্রির কাব্য “কি রকম দেখাচ্ছে আমাকে ?” “তা কি বলা যায় আনন্দ ?” হেরম্ব সিড়ির উপরের ধাপে বসেছিল। তার পায়ের নীচে সকলের তলার ধাপে আনন্দ বসতেই সেও নেমে এল । আনন্দ চেয়ে না দেখেই একটু হাসল। হেরম্ব কোন কথা বলল না । আনন্দের এখন নীরবতা দরকার এটা সে অনুমান করেছিল । হাটুর সামনে দু’টি হাতকে একত্র বেঁধে আনন্দ বসেছে। তার ছড়ানো বাবড়ি চুল কান ঢেকে গাল পৰ্য্যন্ত ঘিরে আসছে। তার ছোট ছোট নিশ্বাস নেবার প্রক্রিয়া চোখে (72|| N甘s | আনন্দ এক সময়ে নিশ্বাস ফেলে বলে, “জাম-কাপড় ! কি ছোট মন আমাদের !” “আমাদের, আনন্দ ।” “না, আমাদের । এসব সৃষ্টি করেছি। আমরা । এ আমাদের এক ধরণের ছল ৷” নিঃশব্দে সময় অতিবাহিত হয়ে যায় । তারা চুপ করে বসে থাকে। শুনন্দকে চমকে দেবার ভয়ে হেরম্ব নড়তে সাহস পায় না । জোরে নিশ্বাস ফেলতে গিয়ে চেপে যায়। আকাশে চাদ গতিহীন । আনন্দের ‘নাচের প্রতীক্ষায় হেরম্বের মনেও সমস্ত জগৎ স্তব্ধ হয়ে গেছে । তারপর এক সময় আনন্দ উঠে গেল। ঘাসে-ঢাকা জমিতে গিয়ে চাদের দিকে মুখ করে সে হাঁটু পেতে বসল। প্ৰণামের ভঙ্গীতে মাথা মাটিতে নামিয়ে দু’হাত সম্মুখে প্রসারিত করে স্থির হয়ে রইল । ኪጋ”