পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ δη দিবারাত্রির কাব্য হেরম্ব এখন তাও জানে। তাই তার গালের উত্তেজনা, তার 'চবুকের মনোরম কুঞ্চন, তার স্বপ্নাতুর চোখে কালো ছায়ার গাঢ় অতল বৃহস্য মিথ্যা নয়। তার ওষ্ঠে তাই শুধু স্পৰ্শই নয়, জ্যোৎস্নাও আছে। ওর মুখের প্রত্যেকটি অণুর সঙ্গে পরিচিত হবার ইচ্ছ। আর তাই অর্থহীন নয়। এমন একটি মুখকে তিল তিল করে মনের মধ্যে সঞ্চয় করায় আর অপরাধ নেই, সময়ের অপচয় নেই। এতকাল হেরম্ব এক মুহূৰ্ত্ত বিশ্লেষণ ছাড়া থাকতে পারে নি। সুন্ম কৃতে সুক্ষ্মতর হয়ে এসে এবার তার বিশ্লেষণ-লব্ধ সত্য সুন্মাতার সীমায় পৗছেছে। আর তার কিছুই বুঝবার ক্ষমতা নেই। কিন্তু হেরম্বের আপশোষ তা নয় : এই অক্ষমতার পরিচয় তার জানা : এই তার চরম ব্লান । সে বিজ্ঞান মানে, আজ বৈজ্ঞানিকের মন নিয়ে কাব্যকে মানল । চাখ যখন আছে, চোখ দেখুক । দেহ যখন আছে, দেহে রোমাঞ্চ হোক । হরম্ব গ্রাহ করে না । অনাবৃত আনন্দের দেহ থেকে জ্যোৎমার আবরণ মাজ কিসে ঘোচাতে পারবে ? লক্ষ আলিঙ্গনও নয়, কোটি চুম্বনও নয়। “আছেন” বললে ঈশ্বর অস্তিত্ব পান এবং সে অস্তিত্ব মিথ্যা নয়, কারণ “আছেন” বলাটাই স্ব-সম্পূর্ণ সত্য, আর কোন প্ৰমাণসাক্ষেপ [ত্যের উপর নির্ভরশীল নয়। হেরম্বের প্রেমও শুধু আছে বলেই সত্য। গল্পনার সীমা আছে বলে নয়, যে অনুভূতির স্রোত তার জীবন তার hতিহাসিকতায় নেই বলে নয়, নিজের সমগ্ৰ সচেতন আমিত্ব দিয়ে DD BDBLSYS KLBLT D DBB DBDS LOsK DBLY BBB SLLLLLK DBLLL SS কাম-পঙ্কের পদ্ম এর উপমা নয়। মানুষের মধ্যে যতখানি মানুষের গালের বাইরে, প্ৰেম তারই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ।