পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য di R8 হেরম্ব কথা বলে না । আনন্দের বর্ষা-বিরাগে তার দিন আরও কাটতে চায় না । চুরুটের গন্ধে আনন্দ মুখ ফিরিয়ে জানালার দিকে তাকাল। হেরম্ব ভাবল, আনন্দ হয়ত হাতছানি দিয়ে তাকে ডাকবে । এখন বাগানে যেতে অস্বীকার করার জন্য হেরম্ব নিজেকে প্ৰস্তুত করছে, আনন্দ মৃত্যু হেসে মাথা নাড়ল, যার সুস্পষ্ট অর্থ, এখন হেরম্বের বাগানে যাবার দরকার নেই ; দূরত্বই ভাল, এই ব্যবধান। হেরম্ব চুরুটটা ফেলে দিয়ে সরে গেল। কাছাকাছি না গেলে চাওয়া-চাওয়িও এখন না হলে চলবে । গামছা কাপড় নিয়ে হেরম্ব খিড়কির দরজা দিয়ে বার হয়ে বাড়ীর পূবদিকের পুকুরে স্নান করে এল। বাড়ীতে ঢুকে দেখল, বাগান থেকে ঘরে এসে আনন্দ অনাথের কাছে গল্প শুনতে বসেছে । হেরম্বও একপাশে বসে পড়ল। গল্প শোনার প্রত্যাশায় নয় : অনাথের বলা ও TARCAf Coffs CMARf TSS) অনাথ আজ মেয়েকে নচিকেতার কাহিনী শোনাচ্ছে । -‘তস্য হ নচিকেতা নাম পুত্ৰ আস। বাজশ্রবসের নচিকেতা নামে এক পুত্র ছিল। একবার এক যজ্ঞ করে বাজশ্রবস নিজের সর্বস্ব দান করলেন । দক্ষিণা দেবার সময় হলে নচিকেতা-সা হোবাচ পিতরাং তত কৰ্ম্মৈ মান্দাস্যতীতি, আমায় কাকে দেবেন ? নচিকেতা তিনবার এ প্রশ্ন: করলে বাজশ্রবস রাগ করে বললেন, তোমায় যমকে দেব।” ”হেরম্ব মৃদুস্বরে বলল, “ষম নয়, মৃত্যুকে । محله আনন্দ বলল, “তফাৎ কি হল ?” হেরম্ব বলল, “উপনিষদে মৃত্যু শব্দটা আছে।”