পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য S 8S হয়ে উঠেছে যে, আরও ভাল করে সব জানিবার ও বুঝবার কোন সুযোগই সহজে অ্যাজ সে ত্যাগ করবে না । তার ভাল করে জানা ও বোকাটা ঠিক কি ধরণের হবে হেরম্ব তাও অনুমান করতে পারছিল । অনুমান করে তার ভয় হচ্ছিল । ভয়ের কথাই । চোখের সামনে ভবিষ্যৎকে ভেঙ্গে গুড়ো হয়ে যেতে দেখে ভয়ঙ্কর না হয়ে ওঠার মত নিরীহ সুপ্রিয়া এখন আর নেই। মুখের দিকে হঁ।া করে তাকিয়ে গল্প শুনে যে বড় হয়েছিল, বড় হয়ে ছোট ছোট কাজ করে, ছোট ছোট সেবা দিয়ে আর সৰ্ব্বদা কথা শুনে চলে যে ভালবাসা জানাবার চেষ্টা করেছিল, আজি হেরম্বের সাধ্য নেই তাকে সামলে চলে । অথচ, আজকের এই সঙ্গীন প্ৰভাতটিতে সে আর আনন্দ দু’জনকেই সামলে চলার দায়িত্ব পড়েছে তার উপরে। জীবন-সমুদ্রে তাকে লক্ষ্য করে দু’টি বেগবতী অর্ণবপোত ছুটে আসছে, সে সরে দাড়ালে তাদের সংঘর্ষ অনিবাৰ্য্য, সরে না দাড়ালে তার যে অবস্থা হওয়া সম্ভব তাও একেবারেই লোভনীয় নয় । আজ পৰ্যন্ত হেরম্বের জীবনে অনেকবার অনেকগুলি সকাল ও সন্ধ্যায় কাব্যের অন্তৰ্দ্ধান ঘটেছে। আজ সকালে কাব্যলক্ষ্মী শুধু যে পালিয়ে গেলেন তা নয়, তার সিংহাসন যে-হৃদয় সেখানে প্রচুর অনর্থ ও রক্তপাতের সম্ভাবনাও ঘনিয়ে এল । অনাথের একটি কথা তার বারংবার মনে পড়তে লাগল ; মানুষ যে এক পৃথিবীতে বাঁচতে আসে নি। সব সময় उ हेि गांठू८बद्ध ८श्थशाळा थांकड ! তাদের দু’জনকে হেরম্বের ঘরে পৌছে দিয়ে আনন্দ চলে গেল। সুপ্রিয়া মান হেসে বলল, “মেয়েটার বুদ্ধি আছে তো !” হেরম্ব অন্যমনস্ক ছিল। বলল, “কার বুদ্ধি আছে ? ক্ষেপেছিস }