পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8N) দিবরাত্রির কাব্য আমাদের ও বুদ্ধি করে একা রেখে যায় নি। কাজ করতে গিয়েছে। কাজ না থাকলে এখান থেকে ও নড়ত না, বসে বসে তোর সঙ্গে গল্প করত ।” ‘সত্যি ? তাহলে মেয়েটা খুব সরল। আমি বুঝতে পারি নি।” ‘বুঝতে পারিস নি ? তুই কি ওর সঙ্গে পাঁচ মিনিটও কথা বলিস নি, সুপ্রিয় ?” সুপ্রিয়ার মুখ লাল হয়ে গেল। সে নীচু গলায় বলল, “তা বলেছিা! আমারি বুদ্ধির দোষ। বুদ্ধি ঠিক থাকলে ওই মেয়েটা যে খুব সরল এটা বুঝতে পাঁচ মিনিট সময়ও লগত না।” সুপ্রিয়ার অপলক দৃষ্টিপাতে হেরম্ব একটু লজ্জা বোধ করল। সরলতার হিসাবে সুপ্রিয়াও যে কারো চেয়ে ছোট নয় এও তো সে জানে। সুপ্রিয়ার অভিজ্ঞতা বেশী, মানুষের মনের জটিল প্রক্রিয়া অনুধাবন করার শক্তি বেশী, সে তাই সাবধানে কথা বলে, হিসাব করে কাজ করে। কিন্তু তার কথা ও কাজে সরলতার অভাব কোনদিনই হেরম্বের কাছে ধরা পড়ে নি, মিথ্যার মানস-স্বৰ্গ ওর নেই। এও হয়ত সত্য যে, আনন্দের সহজাত সরলতার চেয়ে সুপ্রিয়ার মনোভিজাত্যের সরলতা বেশী মূল্যবান। একটা ছেলেমানুষী, আর একটা সুশিক্ষা। হেরম্ব সুর বদলাল । “ভাল করে বোস সুপ্রিয়া, তোর কষ্ট হচ্ছে।” SDD DDD DDB BB S DBBBD DBDBBB BBD KLDD DD S L0LLD B দেখলে কেউ তো বোঝে না। কারো কষ্ট আছে কি নেই!” ‘কারো কি নিজের কষ্টের কিছু অভাব আছে সুপ্রিয়া, যে পরের মধ্যে কষ্ট খুজে বেড়াবে ?”