পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবারাত্রির কাব্য YG o উৎসাহের অভাব ছাড়া অন্য কারণও হয়ত আছে। এটা যদি সুপ্রিয়ারই শয়ন-কক্ষ হয় তবে সে এখানে একাই থাকে। ছোট চৌকিতে যে বিছানা পাতা আছে সেটা একজনের পক্ষেও ছোট । অশোক যদিও এখন বিছানায় চিৎ হয়ে পড়ে আছে, এ অধিকার হয়ত তার সাময়িক, হয়তো এ তার নিছক গায়ের জোর । এই সব পালক-নিহিত অনুমানের মধ্যেও হেরম্ব কিন্তু টের পাচ্ছিল অশোকের গায়ের জোর বড় আর নেই। সে দুভিক্ষ-পীড়িতের মত শীর্ণ হয়ে গেছে । অশোক উঠল না । বলল, “হেরম্ববাবু যে !” হেরম্ব বলল, “আমিই। তোমাকে চেনা যাচ্ছে না, অশোক ৷” “যাবেও না । মরে ভৌতিক অবস্থা প্ৰাপ্ত হয়েছি যে ! এ যা দেখছেন, এ হল সুন্ম শরীর ।” ‘न्यू जgनश् 6भट्ठे |” “অ্যাজেন্তু ইহঁ্যা । আপনার পত্রে জানা গেল এখানকার জল-হাওয়া ভাল । উনি মনে করলেন, আমার অবস্থা বুঝে পুরীতে আমাদের নেমন্তান্নাই বুঝি করছেন ওই কথা লিখে। তাই জোর করে টেনে এনেছেন। ছুটীর জন্য বেশী লেখালেখি করতে গিয়ে চাকরীটি প্রায় গিয়েছিল মশায়।” আনন্দের সঙ্গে কথা বলার সময় সুপ্রিয়ার কণ্ঠস্বরে যে ব্যঙ্গ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল, অশোকের কথায় যেন তারই ভদ্র, গোপন-কােরা ধবনি শোনা যায় । হেরম্ব একটু সাবধান হল । “তোমার আঙ্গুল কি হল, অশোক ?” অশোকের ডান হাতের মাঝের আঙ্গুল দু’টি কাটা । ঘা শুকিয়ে এসেছে কিন্তু আরাক্তভাব এখনো যায় নি, শুকনো ঘায়ের মামড়ি তুলে