পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SCG দিবরাত্রির কাব্য দশটা বাজতে না বাজতে ওখানকার সবাই, আনন্দ শুদ্ধ ঢুলতে ঢুলতে যে যার ঘরে গিয়ে দরজা দেয়। তারপর সারারাত নিষ্কৰ্ম্ম ঘুম দিলে আমায় ঠেকায় কে !” সুপ্রিয়া লজ্জা পেল -“বানিয়ে বানিয়ে এত কথা। আপনি বলতে পারেন । কিন্তু আপনার শরীর যে রেটে খারাপ হয়েছে তাতে মনে হয় না ঠিক মত আহার-নিদ্রা হয়।” ‘রেটটা তোরও কম নয়, সুপ্রিয়া ।” * আমার অসুখ, ফিটের ব্যারাম । আমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আপনার শরীর খারাপ হবে কেন ?” “আমারও হয় তো অসুখ, সুপ্রিয়া ।” সুপ্রিয়া হেসে বলল, “তর্কে হারবার উপক্ৰমেই অসুখ হয়ে গেল ? বসুন, বালিশ এনে দিচ্ছি,-ওয়ার পরিয়ে আনতে হবে । এমন আলসে হয়েছি আজকাল, ময়লা বালিশে শুয়ে থাকি তবু ওয়ার বদলাই না । এবার আমি মরব নাকি ?” বালিশ নিয়ে সুপ্রিয় ফেরার আগে এল অশোক । “দুপুরে এখানেই খাবেন দাদা ।” তার আমন্ত্রণের এই অমায়িক সুরে হেরম্ব বুঝতে পারল সুপ্রিয়া সত্য সত্যই অশোককে শান্ত করতে পেরেছে। সুপ্রিয়ার এ ক্ষমতা তার অভিনব মনে হল না । অশোকের প্রতি সুপ্রিয়ার যে গভীর ও আন্তরিক মমতা আছে, অশোকের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি যে নিবিড় মনোযোগ ও অক্লান্ত সেবায় তার এই মমতা প্ৰকাশ পায়, অশোকের অতিরিক্ত দুঃখ ও অপমান মুছে নেবার পক্ষে তাই যথেষ্ট । সুপ্রিয়ার প্রকৃতি শান্ত, সে