পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNշԳ দিবারাত্রির কাব্য মাতা ও কন্যার মিলন হল। এইভাবে । হেরম্বের না হল আনন্দ, না। হল স্বস্তি । নূতন ধরণের যে বিষাদ তার এসেছে তাতে সবই যেন তার মনে হচ্ছে সাধারণ, স্বাভাবিক । তারপর মালতী জিজ্ঞাসা করল, “পিঠে নারকেল তেল দিতে পারিস নি একটু ?” বরফ দেওয়ার কথাটা কেউ উল্লেখ করল না । হেরম্বকে দিয়ে তেলের শিশি আনিয়ে মালতী মেয়ের পিঠে মাখিয়ে দিতে আরম্ভ করল। আনন্দকে প্ৰহার করেই মালতী শান্ত হয়ে যাবে হেরম্ব সে আশা করেনি । অনাথ যে সত্য সত্যই চিরদিনের মত চলে গেছে তাতে সেও সন্দেহ করে না । মৃত্যুর চেয়ে এভাবে প্ৰিয়জনকে হারানো বেশী শোকাবহ । এই শোক মালতীর মধ্যে ঠিক কি ধরণের উন্মত্ততায় অভিব্যক্তি হবে তাই ভেবে হেরম্ব ভয় পেয়ে গিয়েছিল। মালতীর শান্ত ভাবটা সে ঠিক বুঝতে পারল না। কারণের প্রভাব হওয়া আশ্চৰ্য্য নয়। ওদিকে সুপ্রিয়ার সমস্যা আছে । চারটের মধ্যে সুপ্রিয়ার কাছে তার হাজির হবার কথা । ঘড়ি দেখে বোঝা গেল এখন আর তা সম্ভব নয়, চারটে বাজে । কিন্তু শেষ পৰ্য্যন্ত গিয়ে উপস্থিত হলে দেরী করে যাওয়ার অপরাধ সুপ্রিয়া ধরবে না । যেতেই হেরম্বের ক্লান্তি বোধ হচ্ছে। তাকে সামনে পেলে সুপ্রিয়া ক্ষণে ক্ষণে নবজাগ্ৰত আশায় উৎফুল্প হয়, ক্ষণে ক্ষণে ব্যথায় মলিন হয়ে যায়। হেরম্বের চোখের দৃষ্টিতে মুখের কথায় আজও সে অদম্য আগ্রহে অনুসন্ধান করে প্ৰেম, নিজেরই সুদীর্ঘ