পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SG দিবারাত্রির কাব্য তার মনের আঘাত মিলিয়ে আসে। ওবেলা গা থেকে দু’টাে মুরগী, আনবার মতলবাটাও এসময় সে মনে মনে স্থির করে ফেলে। r" রান্নার ফাকে একসময় হেরম্বকে শুনিয়ে আসে, “আর কেউ হলে রান্নাঘরে গিয়ে আমার সঙ্গে গল্প করত।-ওমা, ঘুমে যে চোখ ঢুলছে!” - “ভারি ঘুম পাচ্ছে সুপ্রিয়া। সারারাত ঘুমোইনি।” সুপ্রিয়া বলে “তাই বলে, এখন এই সকালবেলা ঘুমোতে পাবেন। না। সারাদিন শরীর বিশ্ৰী হয়ে থাকবে। আরেক কাপ চা পাঠাচ্ছি, খেয়ে চাঙ্গা হয়ে নিন, তারপর দুপুর বেলাটা পড়ে পড়ে যত ঘুমোবেন।” • `ዞ দুপুর বেলা হেরম্বের সঙ্গে গল্প করবে, না কয়েকটা বিশেষ বিশেষ খাবার তৈরী করতে বসবে এতক্ষণ সুপ্রিয় তা ঠিক করে উঠতে পারে। নি। দুপুরে হেরম্বের ঘুমের প্রয়োজনে এ সমস্তার মীমাংসা হয়ে যাওয়ায় সে নিশ্চিন্ত হয় | ভাবে, এক ফেলে রেখে কি আর খাবার করা যেত ? পেটুক তো সহজ নয়! এ বেশ হল । ঘুমোবার সময়ের মধ্যেই হাত চালিয়ে সক করে ফেলব। তারপর গা ধুয়ে এসে আর কাজ নয়। শুধু গল্প। গম্ভীর হেরম্বের সঙ্গে সে কি গল্প করবে সে-ই জানে। হেরম্বের জন্য আবার চা করতে গিয়ে সে ফিরে আসে । “একটু ব্র্যাণ্ডি খাবেন ? শরীরের জড়তা কেটে যাবে।” সে তামাসা করছে ভেবে হেরম্ব একটু অসন্তুষ্ট হয়ে বলে, “ব্র্যাণ্ডি । ব্র্যাণ্ডি তুই পাবি কোথায় ?” ‘আছে। উনি খান যে ”