পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য Σ ή 8. SDDBSBB BDSS DBDB DS DBBDS DS DBBSLLBi BDDD আছে !” “চেহারার বাহারও আছে, সুপ্রিয়া ।” “তা আছে । দু’জনেরই ৷” খোচা খেয়ে হেরম্ব একটু বিরক্ত হল। সুপ্রিয়ার এবারকার পদ্ধতিটা ভাল নয়। রূপাইকুড়ায় সে তাদের বাহ সম্পর্ককে প্ৰাণপণে ঠেলে তুলতে চেয়েছিল সেই স্তরে, যেখানে বাস্তব-ধৰ্ম্মী মানুষের আবেগ ও স্বপ্ন বিছানো থাকে, যেখানে রস ও মাধুৰ্য্যের সমাবেশ। সাধারণ যুক্তি ও বিচার-বুদ্ধিকে তুচ্ছ করে দেবার প্রবৃত্তি হেরম্ব যাতে দমন করতে না চায়, রূপাইকুড়ায় তাই ছিল সুপ্রিয়ার প্রাণপণ চেষ্টা । এবার সুপ্রিয়া তার সমস্ত নেশা টুটিয়ে দিতে চায়, সে যে প্ৰায় ভুলে যেতে বসেছে সে রক্ত-মাংসের মানুষ, তার এই ভ্ৰান্তিকে সে টিকতে দেবে না। আত্মবিস্মৃতি পাখীর মত নিঃসীম আকাশে পাখা মেলে অনন্ত-যাত্রায় তাকে প্ৰস্তুত হতে দেখে এই নীড়িলুব্ধ বিহঙ্গামী তার কাছে পৃথিবীর আকর্ষণ টেনে এনেছে, তাকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছে আকাশে আশ্রয় নেই, খাদ্য নেই, পানীয় নেই । হেরম্ব ধীরে ধীরে হাটে । সুপ্রিয়ার ইঙ্গিত মিথ্যা নয়, রূপের বাহার ছাড়া আনন্দের আর কিছুই নেই। আনন্দের ভিতর ও বাহির সুন্দর, অপার্থিব, অব্যবহাৰ্য্য সৌন্দৰ্য্যে তার দেহ-মন মণ্ডিত হয়ে আছে : সে রঙীন কালিতে ছাপানো অনবদ্য কবিতার মত । অথবা সে আকাশের মত, তার মধ্যে ডুবে গিয়েও পাখীকে নিজের পাখায় ভর করে থাকতে হয়, পাখা অবশ হলে পৃথিবীতে পতন আনিবাৰ্য্য। আনন্দকে প্ৰেম ছাড়া আর কোন পূজায় পাওয়া যায় না, প্রেমের শেষ অবশ্য নিশ্বাসের সঙ্গে সে