পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ዓዓ দিবারাত্রির কাব্য ‘লড়াই বাধাচ্ছিস তুই। আমি তো লড়াই করতে চাইনি সুপ্রিয়া ।” এই কঠোর কথায় সুপ্রিয়া ক্ৰন্দনবিমুখ আহত শিশুর মত মুখ করে। বলল, “ইচ্ছে করে আমাকে অপমান করার জন্য একথা যদি বলতেন, ফিরে গিয়ে আমি বিষ খেতাম।” হেরম্ব সাগ্রহে সায় দিয়ে বলল, “ফিরে গিয়ে আমরা দু’জনেই তাই খাই চল, সুপ্রিয়া।” সুপ্রিয়া অতি কষ্টে বলল, “তার চেয়ে এখানে একটু বসা ভাল।” জলের ধার থেকে খানিক সরে শুকনো বালিতে তারা নীরবে বসে থাকে। হেরম্ব বুঝতে পারে রূপাইকুড়ায় তাদের যে ছ’মাসের চুক্তি হয়েছিল সুপ্রিয়া এখনো তা অখণ্ডনীয় ধরে রেখেছে। এখন যে তাদের আন্তরঙ্গতা বেড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। অশোকের সম্বন্ধে যে আলোচনা তাদের হয়ে গেল, পরস্পরের কাছে দাম কমে যাবার বিন্দুমাত্র আশঙ্কা পাকলে এ আলোচনা তাদের এত স্পষ্ট হয়ে উঠত না । উঠলেও এত সহজে সমাপ্তি লাভ না করে তাদের এমন কলহ হয়ে যেত যে, আগামী কাল পৰ্য্যন্ত পরস্পরকে তারা ঘৃণা করত । যাদের মধ্যে মনের চেনা নেই, শুদ্ধ শান্ত অপাপবিদ্ধ আত্মাকে পৰ্য্যন্ত এ অবস্থায় তারা ক্লেশ দেয় ; বলে এই দ্যাখ, পাপ । তোমার পাপ, তোমার মহৎ চিত্তের মহাব্যাধি ! অশোকের মধ্যস্থতাতেই কি সে আর সুপ্রিয়া পরিচয়ের এই নিম্নতম স্তর অতিক্রম করে এল ? মুহূৰ্ত্তের তেজী, হিংসার বশে সুপ্রিয়াকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিতে চেয়ে অশোক কি তার আর সুপ্রিয়ার মধ্যে পরম সহিষ্ণুতা এনে দিয়েছে ? তাই যদি না হয়,-সুপ্রিয়ার প্রশান্ত মুখের দিকে চেয়ে হেরম্ব মনে d R *