পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TSbrð দিবারাত্রির কাব্য মরে যাচ্ছে সেদিন থেকে কি কষ্ট যে পাচ্ছি! আচ্ছা শোন, তোমার কি “খুব গরম লাগছে ? ঘাম হচ্ছে ?” “না, আজ তো গরম নেই।” আনন্দ উঠে এসে বলল, “দেখ, আমি ঘেমে নেয়ে উঠেছি। আমার কি হয়েছে ?” হেরম্ব গম্ভীর বিষন্ন মুখে বলল, “শান্ত হয়ে বোসে । তোমার জ্বর TRACIS? ’” ধীরে ধীরে রাত্ৰি বেড়ে চলে । আশে-পাশে অসংখ্য বিবি” আর ব্যাঙের ডাক শোনা যায়। আনন্দকে সাস্তুনা ও শান্তি দেবার দুঃসাধ্য প্ৰয়াস একবার প্রাণপণে করে দেখবার জন্য হেরম্বের বিমানো মন মাঝে মাঝে সতেজে সচেতন হয়ে উঠতে চায়। কিন্তু আজ কোথায় সেই উদ্ধত উৎসাহ, অদম্য প্ৰাণশক্তি | চিন্তা কষ্টকর, জিহবা আড়ষ্ট, কথা সীসার মত ভারী। মুখ গুজে৷ সৰ্ব্বনাশকে বরণ করা ছাড়া আর সেন উপায় নেই। স্বৰ্গ চারদিকে ভেঙ্গে পড়ুক । মোহে অন্ধ রক্ত-মাংসের মানুষের অমৃতের পুত্র হবার স্পৰ্দ্ধা ধূলায় লুটিয়ে যাক । প্ৰেম ? মানুষের নব ইন্দ্ৰিয়ের নবলব্ধ ধৰ্ম্ম ? সে সৃষ্টি করেছে। এবার যে পারে বঁচিয়ে রাখুক । তার আর ক্ষমতা নেই। আনন্দ কঁদ-কঁাদ হয়ে বলেছিল, “তুমিও আমায় ভাসিয়ে দিলে ?” হেরম্ব শ্ৰান্তস্বরে বলেছিল, “কাল সব ঠিক হয়ে যাবে, আনন্দ ।” এ স্পষ্ট প্রতারণা। কিন্তু উপায় কি ? আজ রান্না হয় নি। কিন্তু সেজন্য হেরম্বের আহারের কোন ক্রটি