পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৩ দিবরাত্রির কাব্য যে যার শষ্যায় আশ্রয় গ্ৰহণ করলে মালতী বলল, “সজাগ থেকে ঘুমিও হেরম্ব, ডাকলে যেন সাড়া পাই।” * -سیی হেরম্ব বলল, “সজাগও থাকিব, ডাকলে সাড়াও পাবেন, এ রকম ঘুম ঘুমোব কি করে ? তার চেয়ে আমি উঠে বসে থাকি।” মালতী ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলল, “ইয়াকি দিও না হেরম্ব । আমার এদিকে মাথার ঠিক নেই, উনি ঠাট্টা জুড়লেন !” সজাগ হেরম্ব বিনা চেষ্টাতেই হয়ে রইল। দু’টি নারীকে এভাবে পাহারা দিয়ে ঘুমানোর চেয়ে জেগে থাকাই সহজ । ঘর স্তব্ধ হয়ে থাকে। আনন্দ নিজের আঁচলে মুখ ঢেকে শুয়েছে, লণ্ঠনের আলো দেয়ালে তার যে ছায়া ফেলেছে তাকে মানুষের ছায়া বলে চেনা যায় না। অল্পক্ষণের মধ্যেই ঘরে কে ঘুমিয়েছে কে জেগে আছে c9ि °i७33 डगgद श् । মালতী আস্তে আস্তে হেরম্বের সাড়া নেয় -“হেরম্ব ?” “ভয় নেই, জেগেই আছি।” “আচ্ছা, বল দিকি একটা কথা । একটা মানুষকে খুজে বার করতে হলে কি করা উচিত ?” “খুজতে বার হওয়া উচিত।” “যাবে হেরম্ব ? ক’দিন দেখা না একটু খোজ-টোজ করে। খরচ ষা লাগে। আমি দেব ।” হেরম্ব নিৰ্ম্মম হয়ে বলল, “মাষ্টারমশায় কি ছোট ছেলে যে খুজে পেলে ধরে আনা যাবে ? আপনি তো চেনেন। তঁাকে । ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ তাকে দিয়ে করানো যায় ?” QMS)