পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য SS" আনন্দ বলল, “জানি।” “তুমি জেগে ছিলে নাকি ?” “এ বাড়ীতে মানুষ ঘুমোতে পারে ? এ ত” পাগলা গারদ ।” আনন্দের কথার সুরে হেরম্ব বিস্মিত হল । সে ভেবেছিল মালতী চলে গেছে শুনলে আনন্দ একটু কঁদবে। মালতীকে এত রাত্রে এভাবে চলে যেতে দেওয়ার জন্য তাকে সহজে ক্ষমা করবে না । কিন্তু আনন্দের চোখে সে জলের আভাসটুকু দেখতে পেল না। বরং মনে হল, কোমল উপাধানে মাথা রেখে ওর যে দুটি চোখের এখন নিদ্রায় নিমীলিত হয়ে থাকার কথা, তাতে একটা অস্বাভাবিক দীপ্তি দেখা দিয়েছে । হেরম্ব বলল, “আমি আটকাবার কত চেষ্টা করলাম, সঙ্গে যেতে bट्रेव्नाश-” “কোন ভোলাচ্ছ আমাকে ? আমি সব জানি । আমিও উঠে. গিয়েছিলাম।” হেরম্ব আনন্দের দিকে তাকাতে পারল না । আনন্দকে একটু DDY BDDD DE0LD LJESEDDDSS SB BB JBDDBD DTED S S BDB হয়ত সে আনন্দের চোখে চোখে তাকিয়ে কথা বলতে পারবে, আনন্দের চুল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে পারবে, আনন্দের বিবৰ্ণ কপোলে দিতে । পারবে সস্নেহ চুম্বন। আজ স্নেহের চেয়ে, সহানুভূতির চেয়ে বেখাপ্পা কিছু নেই। যতক্ষণ পারা যায় এমনি চুপচাপ বসে থেকে, বাকী রাতটুকু আজ তাদের ঝিমিয়ে ঝিমিয়েই কাটিয়ে দিতে হবে । আজ রাত্ৰি প্ৰভাত হলে, সে আর একটা দিনও এই অভিশপ্ত গৃহের বিষাক্ত আবহাওয়ায় বাস করবে না । আনন্দের হাত ধরে যেখানে খুন্সী চলে যাবে।