পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दिiद्धविद्ध কাব্য &O o7 মানুষের অধিকার নেই ? বিগত-যৌবন প্রেমিকের কাছে প্ৰতারিত হয়ে তাই যদি আনন্দ জেনে থাকে, তবে তার অপরাধ নেই, কিন্তু এই সাংঘাতিক জ্ঞান বহন করে সে দিন কাটাবে কি করে ? হেরম্বের বুক হিম হয়ে আসে-কোথায় সেই প্ৰেম ? পূর্ণিমা তিথির এক সন্ধ্যায় সে যা স্বষ্টি করেছিল ? আজ রাত্রিটুকুর জন্য সেই অপার্থিব চেতনা যদি সে ফিরে পেত ! হয়ত কোন এক আগামী সন্ধ্যায় সেই পূর্ণিমার সন্ধ্যাকে সে ফিরে পাবে । আজ সে আনন্দকে সাস্তুনা দেবে কি দিয়ে ? হেরম্বের মুখের দিকে খানিকক্ষণ ব্যাকুল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে আনন্দ চোখ বুজল৷৷-“ঘুমবে ?” হেরম্ব বলল । আনন্দ বলল, “না ।” হেরম্ব বলল, “না। যদি ঘুমাও আনন্দ, তবে আমাকে নাচ দেখাও । তোমার নাচের মধ্যে আমাদের পুনর্জন্ম হোক ৷” আনন্দ চোখ মেলে বলল, “নাচব ?” চোখের পলকে রক্তের আবির্ভাবে আনন্দের মুখের বিবর্ণিত ঘুচে গেছে। হেরম্ব তা লক্ষ্য করল। তার বুকেও ক্ষীণ একটা উৎসাহের जाए ठठेल । “তই কর আনন্দ, নাচ । আমরা একেবারে ঝিমিয়ে পড়েছি না ? আমাদের জড়তা কেটে যাক ৷” আনন্দ উঠে দাড়াল। বলল, “তাই ভাল। নাচই ভাল। উঃ, ভাগ্যে তুমি বললে! নাচতে পেলে আমার মনের সব ময়লা কেটে যাবে, সব কষ্ট দূর হবে।” আনন্দ টান দিয়ে আলগা খোপা খুলে ফেলল।-“চল উঠানে যাই।