দিবরাত্রির কাব্য ༤ হেরম্বকে তুষাৰ্ত্ত জেনে সুপ্রিয়ার সেবাবৃত্তি জাগ্রত হয়ে উঠল । ‘সরবৎ করে দেব ? লেবুর সরবৎ ?” হেরম্ব আগ্রহ জানিয়ে বলল, “দে, তাই দে৷ ” আহত, উত্তপ্ত ও ঘৰ্ম্মাক্ত সুপ্রিয়ার হাত থেকে সরবতের গ্লাস নেবার সময় একমুহূৰ্ত্তের জন্য হেরম্বের মনে হল হয়ত সত্যসত্যই মেয়েদের সুঙ্গলের ব্যবস্থা করতে গিয়ে পুরুষেরা গোড়াতেই কোথাও একটা গলদ বাধিয়ে বসে আছে, যে জন্য ওদের মনের শৈশব কোনদিনই ঘূচিতে চায় না ! ঘুণ যদি ধরে তো একেবারে কঁচা মনেই ধরে, নইলে ওরা আজন্ম শিশু । জীবন-সাগরের তীরে বালি খুড়ে পুকুর তৈরী করে ওরা খুসী থাকবে, সমুদ্রের সঙ্গে তাদের সে কীত্তির তুলনা কখনো করবে না। দ্রাবের জলে ডাবের শাসে জগতের ক্ষুধাতৃষ্ণা দূর হয় চিরদিন এই পাকবে ওদের ধারণা, জগতের ক্ষুধাও ওরা বুঝবে না, তৃষ্ণায় প্রকৃতিও 'ଞtଜ{{< ଗ!! !। সরবৎ পান করে হেরম্ব বলল, “কাল ফিট হয়েছিল, ‘আজ আবার রাধতে গেলি কেন ?” “বাড়ীতে অতিথি, রাধব না ? অতিথি খাবে কি ?” ‘অতিথি দাইচি ড়ে দিয়ে ফলার করবে। ” ‘অতিথির অন্ত দরদ দেখিয়ে কাজ নেই ।” সুপ্রিয়ার মুখের মেঘ আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছিল । সে ভাবতে আরম্ভ করেছিল যে, হেরম্ব খেয়ালী মানুষ, মনের খেয়ালে ও যদি একটা “সন্ধুত কিছু করতে চায়, রাগ করে আর লাভ কি হবে ? যে উদ্দেশ্যে যে মনোভাব নিয়েই ও এসে থাক, সে বিনা প্ৰতিবাদে। ওকে গ্ৰহণ r