পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8) দিবরাত্রির কাব্য নেই, দু’বেল সিঁড়ি ধােয়া হচ্ছে |--তুমি বুঝি গিয়েছিলে সমুদ্রে ? একদিন সমুদ্রে না গেলে নয় ! যদি গৈলেই, বলে কি যেতে নেই ?” অনাথ বলল, “আসন থেকে উঠেই চলে গিয়েছিলাম মালতী । তোমাকে বলে যাওয়ার কথা মনে ছিল না ।” মালতী বলল, ‘তবু ভাল, কথার একটা জবাব পেলাম। সহর হয়ে এলে, আমার জিনিষটা আনলে না যে ? কাল থেকে পাই পাই করে বলছি।” অনাথ বলল, “তোমাকে তো কবে বলে দিয়েছি ওসব তামি এনে দিব না ।” মালতী উষ্ণ হয়ে বলল, “কেন, দেবে না কেন ? তোমার কি এল গেল !” ‘গোল্লায় যেতে চাও তুমি নিজে নিজেই যাও। আমি সাহায্য · করতে প্ৰস্তুত নই।” M ‘কেতাৰ্থ করলে ! আমাকে গোল্লায় এনেছিল কে বের করে ? পরের কাছে অপমান করা হচ্ছে !” মালতী হঠাৎ হেসে উঠল, “তুমি না। এনে দিলেও আমার এনে দেবার লোক আছে, তা মনে রেখে ।-চললে কোথায় শুনি ?” ‘মান করব?-সংক্ষেপে এই জবাব দিয়ে অনাথ বাড়ীর মধ্যে ঢুকে 5६ ।। হেরম্ব জিজ্ঞাসা করল, “সহর থেকে কি জিনিষ আনার কথা ছিল ?” “আমার একটা ওষুধা।” বলে মালতী গম্ভীর হয়ে গেল। তার গাম্ভীৰ্য্য হেরম্বকে বিস্মিত করতে পারল না। সে টের পেয়েছিল, মালতীর 8