পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( দিবারাত্রির কা?” সময় আমি শুধু কঁদতে বাকী রেখেছিলাম। পাঁচ বছর যার খোজ - খবর নেওয়াও দরকার মনে করেন নি, তাকে দেখে অতি কষ্ট কেউ ভুলতে পারে ?” “আমি পারি। কষ্ট হলে যদি সহজে অবহেলাই করতে না পারব, পাঁচ বছর। তবে তোর খোজ-খবর নিলাম না কেন ?” “কত সংক্ষেপে কত বড় কৈফিয়ৎ ! মেনে নিলাম ভাববেন না। কিন্তু । আপনার সঙ্গে আমার ঢের ঝগড়া আছে । বাইরে দাড়িয়ে আর কথা নয়। ভেতরে চলুন। জামা খুলে গা উদলা করে দিন, পাখা নেড়ে আমি একটু হাত ব্যথা করি। স্নান করবেন তো ? আপনার জন্যে এক টব জল তুলে রেখেছি। ইদারা থেকে তোলা। কিনা, বেশ ঠাণ্ডা জল । স্নান করে আরাম পাবেন ।” সুপ্রিয়ার কথা বলার ভঙ্গীটি মনোরম ৷ সকালবেলাই এখন একশ’ চার ডিগ্রি গরমে মানুষ সন্তপ্ত হয়ে আছে। কিন্তু সুপ্রিয়ার যেন একটি দাৰ্জিলিঙের আবহাওয়ার আবেষ্টনী আছে। এত গরমেও তার কথার মাধুৰ্য্যের এক কণা বাষ্প হয়ে উড়ে যায় নি, তার কণ্ঠে শ্ৰান্তির আভাস দেখা দেয় নি। তার ইদারার জলের মতই সেও যেন জুড়িয়ে আছে। t বাইরের ঘরের ভিতর দিয়ে অন্দরের বারান্দা হয়ে হেঁরশ্বকে সে একেবারে তার শোবার ঘরে নিয়ে গেল । যেতে যেতে হেরম্ব লক্ষ; করে দেখল, চারিদিকে একটা অতিরিক্ত ঘসামাজ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ভাব। ঘর ও রোয়াকের ধোয়া মেঝে সবে শুকিয়ে উঠেছে, সাদা কালো দেয়ালের কোথাও একটু দাগ পৰ্যন্ত নেই। জলের বালতি,