পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՋ দিবরাত্রির কাব্য কাজটা সে এমন একটি ছলনার আশ্রয়ে করে যে মালতী বুঝতে পারে না, হেরম্ব বুঝতে ভরসা পায় না । মালতী বলে, “কোমর করছে বলে তোকে আমি টিপতে বলি নি আনন্দ ! এমনি টিপুনিতে যদি ব্যথা কমত। তবে আর ভাবনা छ्ळि व्ष !” হেরম্ব শুধু আনন্দের পায়ের পাতা দুটি দেখতে পায়। আঙ্গুল বাকিয়ে আনন্দ পায়ের নখ সিড়ির সিমেণ্টে একটা খাজে আটকেছে। হেরম্বের মনে হয়, আনন্দের আঙ্গুলো ব্যথা লাগছে। এভাবে তার নিজেকে ব্যথা দেবার কারণটা সে কোনমতেই অনুমান করতে পারে না । সিমেণ্টের খাজ থেকে আনন্দের আঙ্গুল ক’টকে মুক্ত করে দেবার জন্য তার মনে প্ৰবল আগ্ৰহ দেখা দেয়। একটি নিরীহ ছোট কালো পিপড়ে, যারা কখনো কামড়ায় না। কিন্তু একটু ঘসা পেলেষ্ট নিশ্চিহ্ন হয়ে প্ৰাণ দেয়, সেই জাতের একটি অতি ছোট পিপড়ে, আনন্দের আঙ্গুলে উঠে হেরম্বের চেতনায় নিজের ক্ষীণতম অস্তিত্বকে ঘোষণা করে দেয়। হেরম্ব তাকে স্থানচ্যুত করতে গিয়ে হত্যা করে ফেলে। আনন্দ বলে, “কি ?” “একটা পোকা ।” “কি পোকা ?” ‘বিষপিপড়ে বোধ হয় ।” মালতী বলে, “একটা বিষপিপড়ে তাড়াতে তুমি ওর পায়ে হাত দিলে -আহা কি করিস আনন্দ, করিস নে, পায়ে হাত দিয়ে প্ৰণাম করিস নে। কুমারীর কাউকে প্ৰণাম করতে নেই জানিস নে তুই ?”