পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য Գ8 আনন্দ বলল, “কোথায় যাচ্ছে মা ?” “গা ধুতে হবে না, আরতি করতে হবে না? সন্ধ্যা হল, সে খেয়াল ‘আছে !” \ গোধূলি লগ্নে হেরম্বের কাছে আনন্দকে ফেলে মালতী উঠে চলে গেল। পৃথিবী জুড়ে নয়, এইখানে সন্ধ্যা নামছে। পৃথিবীর আর এক পিঠে এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত সমগ্রভাবে বিস্তুত চলমান অবিচ্ছিন্ন দিন । এখানে যে রাত্রি আসছে তাকে নিজের দেহ দিয়ে সৃষ্টি করেছে মাটির পৃথিবী। পৃথিবী থেকে সুৰ্য্য যতদূর, মহাশূন্যে রাত্রির বিস্তার তার চেয়েও অনন্তগুণ বেশী। রাত্রির অন্ত নেই। মধ্যরাত্রিকে অবলম্বন করে কল্পনায় যতদূর খুলী চলে যাওয়া যাক, রাত্রির শেষ মিলবে না। পৃথিবীর এক পিঠে যে আলো ধরা পড়ে দিন হয়েছে, অসীম শূন্যের শেষ পৰ্য্যন্ত তার অভাব কোথাও মেটে নি। মালতী চলে গেলে মুখ তুলে আকাশের দিকে একবার তাকিয়ে হেরম্বের মনে যে কল্পনা দেখা দিয়েছিল উপরের কথাগুলি তারই ভাষান্তরিত সংক্ষিপ্ত ইতিহাস । আনন্দের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এ BDBBD BDBBBDBD BBD DBDBS DBDDBDBD DBBDDBBD DBB DBDDD DBDDY যে নিজেকে অনাবৃত ও অসহায় মনে করছে হেরম্বের তা বুঝতে বাকী থাকে নি। চােখের সামনে ধূসর আকাশটি থাকায় আকাশকে উপলক্ষ করেই সে তাই কথা আরম্ভ করল। আকাশ থেকে কথা পৃথিবীতে নামতে নামতে আনন্দ তার লজা ও সঙ্কোচকে জয় করে নেবে ।