পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नेि বারাত্রির কাব্য SO হেরম্ব এক টিপ নস্য নিল । সহজ। আলাপের মধ্যে তার আত্মগ্লানি কমে গেছে । “আমাকে ? আমাকে তুমি ভয় কর না আনন্দ ?” “আপনাকে ? আপনাকে আমি চিনি না, আপনার রাগ কি রকম জানি না । কাজেই বলতে পারলাম না ।” “আমাকে তুমি চেনে না। আনন্দ ! আমি তোমার বন্ধু যে !” আনন্দ আতি মাত্রায় বিস্মিতা হয়ে বলল, “বাসী! শোন কথা ! আপনি আবার বন্ধু হলেন কখন ?” “একটু আগে তুমি নিজেই বলেছ। মালতী-বৌদি সাক্ষী আন্সে ।” আনন্দ সঙ্গে সঙ্গে বলল, “ভুল করে বলেছিলাম। আমি ছেলেমানুষ, আমার কথা ধরবেন না। কখন কি বলি-না-বলি ঠিক আছে কিছু !” “এরকম অবস্থায় তোমার তবে কিছু না বলাই ভাল, আনন্দ ।” “কিছু বলছিও না। আমি। কি বলেছি ? চুপ করে বসে আছি। আপনার যদি মনে হয়ে থাকে। আমি বেশী কথা বলছি, আপনার ভুল মনে হয়েছে জানবেন :- ওই দেখুন, চাদ উঠেছে।” আনন্দ মুখ তুলে চাদের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর হেরম্ব তাকায় তার মুখের দিকে। তার অবাধ্য বিশ্লেষণ-প্রিয় মন সঙ্গে সঙ্গে বুঝবার চেষ্টা করে তেজী আলোর চেয়ে জ্যোৎস্নার মত মৃদু আলোতে মানুষের মুখ আরও বেশী সুন্দর হয়ে ওঠে কেন । আলো অথবা মানুষের চোখ, কোথায় এ ভ্ৰান্তির সৃষ্টি হয় ? হেরাম্বের ধারণা ছিল কাব্যকে, বিশেষ করে চাদের আলোর কাব্যকে সে বহুকাল পূর্বেই কাটিয়ে উঠেছে। জ্যোৎস্নার একটি মাত্র গুণের