পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

କ> দিবরাত্রির কাব্য মৰ্য্যাদাই তার কাছে আছে, যে এ আলো নিম্প্রভ, এ আলোতে চোখ জ্বলে না। অথচ, আজ শুধু আনন্দের মুখে এসে পড়েছে বলেই তার মত সিনিকের কাছেও চাদের আলো জগতের আর সব আলোর মধ্যে বিশিষ্ট হয়ে উঠল । হেরম্বের বিশ্লেষণ-প্ৰবৃত্তি হঠাৎ একটা অভূতপূৰ্ব্ব সত্য আবিষ্কার পরে তাকে নিদারুণ আঘাত করে । কবির খাতা ছাড়া পৃথিবীর পক্ষাথায়ও যে কবিতা নেই, কবির জীবনে পৰ্য্যন্ত নয়, তার এই জ্ঞান পূৰ্বপ্নানো । কিন্তু এই জ্ঞান আজও যে তার অভ্যাস হয়ে যায় নি, আজি হঠাৎ সেটা বোঝা গেছে । কাব্যকে অসুস্থ নার্ভের টঙ্কার বলে জেনেও আজ পৰ্য্যন্ত তার হৃদয়ের কাব্যপিপাসা অব্যাহত রয়ে গেছে, প্ৰকৃতির সঙ্গে তার কল্পনার যোগসুত্রটি আজও ছিড়ে যায় নি। রোমান্সে আজও তার অন্ধ বিশ্বাস, আকুল উচ্ছসিত হৃদয়া বেগ আজও তার কাছে হৃদয়ের শ্ৰেষ্ঠ পরিচয়, জ্যোৎস্না তার চোখের প্ৰিয়তম আলো । হৃদয়ের অন্ধ সত্য এতকাল তার মস্তিষ্কের নিশ্চিত সত্যের সঙ্গে লড়াই করেছে। তার ফলে, জীবনে কোন দিকে তার সামঞ্জস্য থাকে নি, একধার থেকে সে কেবল করে এসেছে ভুল। দুটি বিরুদ্ধ সত্যের একটিকে সজ্ঞানে আর কটিকে "তা জ্ঞাতসারে একসঙ্গে মৰ্য্যাদা দিয়ে এসে জীবনটা তার ভরে ঠেছে শুধু স্প্যিাতে । তার প্রকৃতির যে রহস্য, যে দুর্বোধ্যতা সম্মোহন শক্তির মত মেয়েদের আকর্ষণ করেছে, সে তবে এই ? রূঢ় বেদন ও লাজার সঙ্গে হেরম্ব নিজেকে এই প্রশ্ন করে । মিথ্যার প্রকাণ্ড একটা তৃপি ছাড়া সে আর কিছুই নয়, নিজের কাছে এই জবাব সে পায় । h い。 K どܓܣܡܬ