পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՏԳ দিবরাত্রির কাব্য হেরম্ব বসল। দু’টি ঘরের মাঝখানে সরু ফাক দিয়ে বাড়ীতে ঢুকে অন্দরের বারান্দা হয়ে সে এই ঘরে পৌছেছে। বারান্দায় বোঝা গিয়েছিল, বাড়ীটা লম্বাটে ও দুপেশে । লম্বা সারিতে বোধ হয় ঘর তিনখানা, অন্যপাশে একখানি মাত্র ঘর এবং তার সঙ্গে লাগানো নীচু একটা চালা । চালার নীচে আবছা গরু হেরম্বের চোখে পড়েছিল। বাড়ীর আর দু’টি দিক প্ৰাচীর দিয়ে ঘেরা। প্রাচীরের মাথা ডিঙ্গিয়ে জ্যোন্নালোকে বনানীর মত নিবিড় একটি বাগান দেখা যায়। এ ঘরখানা লম্বা সারির শেষে ৷ ” হেরম্ব জিজ্ঞাসা করল, “এটা কার ঘর ?” আনন্দ বলল, “আমার ।” চৌকীর বিছানা। তবে আনন্দের ? প্ৰতি রাত্ৰে আনন্দের অঙ্গের উত্তাপ এই শয্যায় সঞ্চিত হয় ? বালিশে আনন্দের গালের স্পর্শ লাগে ? হেরম্ব নিজেকে অত্যন্ত শ্ৰান্ত মনে করতে লাগল। জুতো খুলে বলল, “আমি একটু গুলাম আনন্দ।” “শুলেন ? শুলেন কি রকম !” তার শয্যায় হেরম্ব শোবে শুনে আনন্দের বোধ হয় লজ্জা করে উঠল । V মালতী বলল, “শোও না, শোও । একটা উচু বালিশ এনে দে আনন্দ । আমার ঘর থেকে তোর বাপের তাকিয়াটা এনে দে বরং । যে বালিশ তোর ” হেরম্ব প্রতিবাদ করে বলল, “বালিশ চাই না মালতী-বৌদি। উচু বালিশে আমার ঘাড় ব্যথা হয়ে যায় ।” মালতী হেসে বলল, “কি জানি বাবু, কি রকম ঘাড় তোমার । ܘ