পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 রজিয়ৎ সুযোগ পাইলেই অনেকে রাজভক্তির মুখোস খুলিয়া নিজ মূৰ্ত্তি । ধারণ করেন,-ইহার পরিচয় আমরা বিশিষ্ট্ররূপেই পাইয়াছি। এরূপ ক্ষেত্রে যে রাজ্য জুড়িয়া অশান্তি ও অসন্তোষের তীব্র হাওয়া বহিবে—আশ্চৰ্য্য কি ? রজিয়ন্তের পিতা ইয়লতিমিশের প্রাণপণ চেষ্টায় যে এই শোচনীয় অবস্থার কতকটা পরিবর্তন হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু ফিরুজের কুশাসনে দেশের সেই পূৰ্ব্বভাব আবার ফিরিয়া আসিয়াছে। অতএব এই উচ্চ জ্বল, অশান্তিময় রাজ্যে শান্তি স্থাপনার জন্ত সম্রাজ্ঞী রজিয়ৎকে বজ্ৰমুষ্টিতে শাসন-দণ্ড গ্রহণ করিতে হইল। শাসন-তন্ত্রের আমূল সংস্কার হইল। পুরাতন অনুপযুক্ত কৰ্ম্মচারিগণের স্থলে উপযুক্ত কৰ্ম্মঠ ব্যক্তির রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইলেন। উক্টরের পদ পাইলেন-পূৰ্ব্বতন উজীর নিজামূ-উল-মুঙ্কের সহকারী খাজা মুহজব, । কবীর খান-ই-আয়াজের উপর বিশেষ দায়িত্বপূর্ণ লাহোরের শাসনভার অর্পিত হইল । কিন্তু এইখানেই রাজ্ঞীর কৰ্ত্তব্য শেষ হইয়া যায় নাই । তিনি ভাল রকমই জানিতেন যে, চতুর্দিকের সুব্যবস্থা করিলেই কোন কার্য্যের সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না ;–তাহার গুন্ত কর্তৃপুরুষকে রাজ্যের কেন্দ্রস্থলে বসিয়! সৰ্ব্বদা সজাগ থাকিতে হয়। শিরে তাজ. অঙ্গে রাজাভরণ, পায়ে জরির জুতা—হতুনের বেশে সুলতানের মত রাজসিংহাসনে বসিয়া রজিয়ং রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন । - দেখিতে দেখিতে বিদ্রোন্ধীর অবনতশির এবং দস্থ্য-তস্তরের