পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

్సు রজিয়ৎ ইতিহাসে রঞ্জিয়তের সিংহাসন প্রাপ্তির এই ঘটনাটুকুই আছে, তাহার অতিরিক্ত আর কিছুই নাই। কিন্তু বিষাক্ত সৰ্পের ধিবরে বাস করিয়াও যে তিনি কেমন করিয়া আত্মরক্ষা করিতেছিলেন, কেমন করিয়া নাগরিকগণ তাঙ্গর প্রতি সহানুভূতিশীল হইয়া প্রবল রাজশক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিতে সাহসী হইয়াছিল, সেসকল কাহিনী জানিবার জন্য পাঠকের চিন্ত স্বভাবতই উন্মুখ হইয়া উঠে ; কিন্তু ইতিহাস তৎসম্বন্ধে নীরব বলিলেই হয়। ইতিহাসের এই নীরবতা ভঙ্গ গুরিতে পারিলে হয়ত রাজয়ৎচরিত্রের আরও এফুট উজ্জল অংশের সহিত আমরা পরিচয় লাভ করিতে সমর্থ ইতাম। কিন্তু সেই নীরবতা-ভঙ্গের আয়োজন এখনও হইয় উঠে নছ । যাহা হউক, সিংহাসন পাইবার পর তিনি শুধু সিংহাসনের শোভ হইয় রছিলেন না, রাজদগু-ধরণের শক্তি ও সামর্থ্য র্তাহার কত দূর, অচিরে প্রজাপুঞ্জ তাহার পরিচয় পাইল । রুকুনউী সসৈন্তে তাহার নিকট পরাজিত ইয়া বন্দী হইলেন। রমণীশাসনের নিকট মাথা নত করিবার ইচ্ছা অনেক সম্রান্তেরই ছিল ন। উজীর নিজামূ-উল-মুদ্ধ, তাহাদিগকে সম্মিলিত করিয়া রাণীর বিরুদ্ধে ভীষণ যুদ্ধের আয়োজন করিলেন। কিন্তু তাঙ্কার তেজ বীৰ্য্য ও ধৈৰ্য্যের নিকট সে আয়োজন ব্যর্থ হইতে অধিক দিন লাগিল না। তার পর নানা স্থানে যে বিদ্রোহ বিশৃঙ্খল K& অশান্তির কারণ ঘটিয়াছিল, তাহাও তিনি দূর করিয়া রাজ্যকে শান্ত ও সংযত করিলেন। বঙ্গ হইতে পঞ্চনদ পর্যন্ত সমস্ত স্থানের