পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Hම් রজিয়ং কটিতে তরবারি,ঘোড়ায় চড়িয়া । মনে হইবে গল্প। কিন্তু সত্যঘটনা । যে অনেক সময়ে গালগল্পের চেয়েও অদ্ভুত হয়,এ কথা মিথ্যা নহে। ইতিহাস সব কথা থতাইয়া লিখে না, লিখিবার দরকারও নাই। বড় বড় কথা—রাজ্য ও রাজনীতির সঙ্গে যার সংস্রব মুখ্য, সে শুধু তার কথাই পাড়িয়া থাকে, বাদবাকী অনেক কথা অনেক সময় পাঠককে জোড়াতাড়া দিয়া ঠিক করিয়া লইতে হয়, নতুবা ইতিহাসের পাঠ সম্পূর্ণ হইয় উঠে না । পুরুষের বেশে রমণীর এই যে প্রকাশ্ব দরবার, এই যে নগর-পরিভ্রমণ, ইহ লইয়; কি ঘরে ঘরে অপ্রতিকর আলোচনার স্বষ্টি হয় নাই ? শুক্রপৃক্ষ প্রকাতে না হউক, অপ্রকাশ্বে অসঙ্গত বিদ্রপকাস্তের তরঙ্গ তুলে নাই ? কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্তরীনবৰ্ত্তিীর সকৌতুকে সস্তপণে পর্দার একটি প্রান্ত তুলিয়া ধরিয়া রাণীর এই অপূৰ্ব্বনগর-পরিভ্রমণ দেখিতে দেখিতে লজ্জায় ভয়ে সারা হয় নাই ? ইতিহাসে ইহার কিছুই নাই ; কিন্তু এমনই সব ঘটনা যে ঘটিয়াছিল, তাহার কি অণুমাত্রও সন্দেহ আছে ? ঘটনা ঘটিত, এবং সজাগ সতর্ক তীক্ষুবুদ্ধি বুজিয়তের কাছে কিছুই অজ্ঞাত থাকিত না, কিন্তু তিনি গ্রাহ করিতেন না ; কৰ্ত্তব্যের কাছে বিচার-বুদ্ধিহীন জনসমাজের মতামতকে তৃণবৎ অসার বলিয়া মনে করিতেন। ইহা অবত র্তাহার চারিত্রিক দৃঢ়তার একটা বিশিষ্ট পরিচয়—একটা মস্ত বড় গুণ। কিন্তু গুণও যে অনেক সময় দোষের আকার ধারণ করে, তাহা মিথ্যা নহে। এই পুষোচিত দৃঢ়তাই রজিতের সর্বনাশের কারণ হইয়াছিল। কেমন বুরিয়া, তাহা বলিতেছি ।