পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4 {ఫి নূরজহান মালবের মাণ্ডুতে পৌঁছিয়াছেন। কিন্তু সম্মুখে বর্ষ ; বর্ষাট সেখানে কাণইঃ তিনি পিতার সহিত সাক্ষাৎ করিবেন। শাহ জাও পিতাকে পত্রে জানাইয়াছিলেন,—“আমাকে রাজসরকার হইতে কোনরূপ সৈন্মাণ্য করিতে হুইবে না। বাদশাহ, যদি ভরসা করিয়া কদাঙ্গার-অভিযানের সমস্ত ভারই আমার উপর ছাড়িয়া দিতে পারেন, তবে এ যুদ্ধে জয়লাভ সুনিশ্চিত।’ নূরজা সম্রাটকে বুঝাইয দিলেন যে, শাহ জণন কন্দাহারঅভিঘানে সৈন্তদের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব-গ্রহণের অনুমতি প্রার্থন করিবাছে, তাহার কারণ আর কিছুই নহে-পিতাকে সিংহাসনচুতি করা। নূরুজ্ঞানের প্রিাপত্রেরাও সম্রাকে এই কথাই বুদ্ধাইতে লাগিল। জগন্ধীর প্রথমে ইহা বিশ্বাস করিতে পারিলেন না; কিন্তু নৃংজস্থা ক্রমাগত যুক্তির্কের দ্বারা যখন শাজস্থানের কাজের ও ব্যবহারের অপব্যাখ্যা করিয়া দুরভিসন্ধি প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলে, তখন মোহান্ধ সম্রাটু বেগমের কথা অবিশ্বাস করিতে পারলেন না। নূরজঙ্গনের অভীষ্ট-সিদ্ধির পথ সুগম হইল , এইরূপে তিনি সম্রাটের মনে সন্দেহ জন্মাইয় প্রস্তাব করিলেন, তাছার জামাই শাহ জাঁদ শরিয়ারকেই কন্দাহার-অভিযানের সমস্ত কর্তৃত্ব প্রদান করা হউক । তাছা হইলে এযাবৎ নূরজা সম্রাটের অনুগ্রহ যাঙ্গ কিছু সঞ্চয় করিয়াছেন, পিতার সম্পত্তি বাবদ যাঙ্গ কিছু করিয়াছেন, সমস্তই তিনি স্বেচ্ছায় এই অভিযানের ব্যয়স্বরূপ দান করিবেন। বেগম সম্রাটুকে আরও একটি অনুরোধ জানাইলেন। আগ্রা, আজমীর