পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত্র কা চরিত্র সমালোচনা করা সকল সময়ে বিশেষ প্রতিকর ব্যাপার নহে ; বিশেষতঃ সেই কেহ যদি রমণী হন, তাছা হইলে সে কাজ আরও কঠিন হুইয়া দাড়ায়। তবে একটা কথা আছে; নূরজা এক সময়ে বলিতে গেলে মোগলসিংস্থাপণের অধিষ্ঠাত্রী ছিলেন ; তাহারই হস্তে সামাজ্যের শুভাওভের ভার গুস্ত হইয়াছিল। এ অবস্থায় তাহাকে সাধারণ রমণী বা বাদশাহর বিলাস-সন্ধিনী বলিলে সত্যের অপলাপ করা হয় ; সুতরাং উহার কার্ঘ্যের সমালোচনা ইতিহাসের বিষয়ীভূত। নূরজা আমীর মান্তাপিতার আদরের কন্যা। তাছার পিত স্বদেশের এক জন প্রতিষ্ঠাপন্ন লোক ; পরে তাহরে অবস্থা-বিপর্যয় ঘটে। এ অবস্থায় অন্ত কেহ হইলে দেশ ত্যাগ করিতেন না, মুদিনের গ্রতীক্ষায় ধরে বসিয়া থাকিতেন, অথবা দেশের মধ্যেই ভাগ্য-পরিবর্তনেরচেষ্টা করিতেন। কিন্তুৰুরুজস্থানেরপিতাসে প্রকৃতির লোক ছিলেন না। তিনি সৌভাগ্যের অন্বেষণে সুদূর ভারতে গিয়া স্বীয় প্রতিভা ও কাৰ্যকুশলতার বলে উচ্চপদে অষ্টিত ইয়াছিলেন। এমন দৃঢ়চিত্ত, উচ্চাভিলাষী, স্বচতুর ও কৰ্ম্মকুশল পিতার ঔরসে যার জন্মষ্ঠার পক্ষে সামান্ত দাসীরা বিলাসসঙ্গিনীর স্থায় জীবন যাপন করা একেবারেই অসম্ভব।