পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



বাহাদুর শাহের সমাধি-ক্ষেত্রে

 ভারতের প্রথম স্বাধীনতা-সংগ্রামে অর্থাৎ ১৮৫৭ অব্দের বিপ্লবে যিনি আমাদের নেতা ছিলেন, সেই সম্রাট বাহাদুর শাহের স্মৃতিস্তম্ভের নিচে এইখানে আমরা গত বৎসর সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করেছিলাম। স্বাধীনতা-সংগ্রামের ইতিহাসে গত বৎসরের সে উৎসবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছিল; আজাদ-হিন্দ বাহিনীর যে সব দল তখন এখানে ছিল, তারা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করেছিল।

 উৎসব ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল একথা আমি বলছি এই জন্যে যে ১৮৫৭ অব্দের পর ভারতের নূতন বিপ্লবী বাহিনী সেই প্রথম ভারতের প্রথম বিপ্লবী বাহিনীর অধিনায়কের আত্মার উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাল। গত সেপ্টেম্বরের কুচকাওয়াজে আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম, সবাই শপথ গ্রহণ করেছি, সম্রাট বাহাদুর শাহের আরব্ধ কাজ সম্পন্ন করতে হবে; বৃটিশ শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করতে হবে। আজকে আনন্দ ও গর্ব্বের সঙ্গে আমি বলতে পারছি, আংশিকভাবে আমরা সে শপথের মর্য্যাদা রক্ষা করতে পেরেছি। সেদিন সেনাবাহিনীর যাঁরা এ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই এখন রণাঙ্গণে যুদ্ধ-রত। ভারত-সীমান্ত অতিক্রম করে আজাদ-হিন্দ ফৌজ এখন মাতৃভূমির মাটির উপর লড়াই করছে।

 এ বৎসর একটা দৈবনির্দ্দিষ্ট যোগাযোগ ঘটেছে—সম্রাট বাহাদুর শাহের মৃত্যুবার্ষিকী এবং নেতাজী সপ্তাহ একই সময় পড়েছে। এই সময়ে সমগ্র পূর্ব্ব-এশিয়ার ভারতীয়রা স্বাধীনতা না পাওয়া পর্য্যন্ত সংগ্রাম

১০৬