পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জাপানের ঐকান্তিকতা সম্বন্ধে নিংসন্দেহ হয়েছে। এই জন্যেই মিত্র শক্তির পতন না হওয়া পর্য্যন্ত আমরা জাপানের সঙ্গে একযোগে যুক্ত চালিয়ে যেতে কৃতসংঙ্কল্প। ভারতের মধ্যে আজ যে যুদ্ধ চলেছে, সে যুক্ত জাপানের নয়—সে যুদ্ধ ভারতের নিজের—তার স্বাধীনতার সংগ্রাম। পুর্ব্ব-এশিয়ার ভারতবাসীদের মতো যদি প্রকৃতই আমরা অকৃত্রিম এবং আত্মত্যাগী হই, তবে আমাদের জয় অনিবার্য্য। উদ্দেশ্য যদি ন্যায়সঙ্গত হয় এবং সেই উদ্দেশ্যের ধারকরা যদি হয় সাধু এবং একনিষ্ঠ— যেমন আমাদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে—তবে শেষ পর্য্যন্ত সাম্রাজ্যবাদের শক্তি পরাস্ত হবেই। আমরা যুদ্ধ করতে এবং যুদ্ধে জয়ী হতে কৃতসংকল্প। সকলে এগিয়ে আসুন—সাহায্য দিয়ে আমাদের কাজ সহজ করে তুলুন।

জয় হিন্দ!

 বেতার-বক্তৃতা: ১১ জুলাই, ১৯৪৪


হিন্দী কৌমী তরনো

(ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত)

 এই জাতীয় সঙ্গীতটি রবীন্দ্রনাথের ‘জনগণ মন অধিনায়ক’ গানের অনুসরণ করে হিন্দী ভাষায় লেখা। নেতাজরি অনুমোদনে সর্ব্বত্র এই গান গাওয়া হত। সুর সহযোগে এই জাতীয় সঙ্গীত শেখবার জন্য নেতাজি সকল ভারতীয়কে নির্দ্দেশ দান করেন।

শুভ সুখ চৈন কী বর্খা বরষে, ভারত-ভাগ হৈ জাগা
পাঞ্জাব সিন্ধ গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
চঞ্চল সাগর বিন্ধ্য হিমালা নীলা যমুনা গঙ্গ
তেরে নিত গুণ গায়ে
তুঝ-সে জীবন পায়ে

১২৬