পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জনগণের পক্ষে এখন তরবারি কোষমুক্ত করা সম্ভবপর। আমরা এজন্য আনন্দিত ও গর্ব্বিত যে, ভারতের মুক্তি-বাহিনী সংগঠিত হয়েছে এবং ক্রমে ক্রমে তার সৈন্যসংখ্যা বেড়ে চলেছে। একদিকে আমাদের সেনাদলের শিক্ষা সম্পূর্ণ করবার ব্যবস্থা করে, তাদের যত শীঘ্র সম্ভব, যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে হবে; সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নতুন সেনাদল গঠন করে, রণক্ষেত্রের সৈন্যবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করে যেতে হবে। স্বাধীনতার শেষ-যুদ্ধ দীর্ঘ এবং কঠোর হবে এবং যে পর্যন্ত ভারতে ইংরেজরা বন্দী অথবা দেশ থেকে বিতাড়িত না হয়, সে পর্যন্ত আমাদের যুদ্ধ করে যেতে হবে। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই যে, আমাদের মুক্তি-বাহিনী আজাদ-হিন্দ ফৌজ ভারতের মাটিতে পদার্পণ করার পর ইংরেজের কবল থেকে সমগ্র ভারতকে মুক্ত করতে এক বছর। অথবা তারও চেয়ে বেশী সময় লাগবে। আসুন, আমরা সেজন্য উঠে পড়ে লাগি এবং দীর্ঘ ও কঠোর সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হই।

 ব্যাঙ্কক, ২রা অষ্টোবর (১৯৪৩), মহাত্মা গান্ধীর ৭৫তম জন্মবাষিকী উপলক্ষে

১৯