পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করে রাইফেল চাপিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু যে আদর্শ তার নিজের নয় তার জন্যে আপনি তাকে প্রাণ দিতে বাধ্য করাতে পারেন না।

 আজাদ-হিন্দ ফৌজের অফিসার ও সৈন্যরা আজ দক্ষিণে আরাকান থেকে উত্তরে আসাম পর্য্যন্ত দীর্ঘ রণাঙ্গনে বীরের মতাে লড়াই করছে এবং প্রাণ দিচ্ছে। আজ পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করবে না যে, এই বাহিনীটি বলপ্রয়ােগ করে তৈরী করা হয়েছে। কাজেই বিপক্ষীয় প্রচারকদের নতুন প্রচার-কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে—সে প্রচার শুধু গালাগালিতে ভর্ত্তি। কিন্তু গালাগালি তো সর্ব্বদাই হতাশার সম্বল। একেবারে গােড়ার দিকে আমাদের শত্রুরা বলত যে, আজাদ হিন্দ ফৌজ আদপে কোন বাহিনীই নয়—শুধু মিথ্যা প্রতারণা; এ বাহিনী কখনও যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা যাবে না। পরে দিল্লীর ভারত-বিরােধী বেতার চীৎকার করতে সুরু করল, নির্দ্ধারিত সময়ক্রম অনুসারে আজাদ-হিন্দ ফৌজ ভারত-সীমান্ত অতিক্রম করেনি। এখন যখন আমরা ভারত সীমান্ত অতিক্রম করেছি এবং ভারতের মাটিতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম চলেছে, তখন বিপক্ষীয় প্রচারকরা হতাশ হয়ে শেষ চেষ্টা করে দেখছে। আমরা দিল্লীতে প্রবেশের তারিখ নির্দ্ধারণ করেছিলাম বলে তারা কাল্পনিক তারিখ আবিষ্কার করেছে, এবং আমাদের দিল্লী-প্রবেশের এই সব কাল্পনিক তারিখ আবিষ্কার করে, নির্দ্ধারিত সময়ানুসারে আমাদের দিল্লীতে না পৌঁছানাের জন্যে গালাগালি করছে। আমি স্বীকার করি যে, ভারত সীমান্ত অতিক্রম করতে আমাদের কিছু বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু তাছাড়া গত বারাে মাস যাবত নির্দ্ধারিত সময়-তালিকা অনুসারেই আমাদের কাজ হয়ে এসেছে। এখন আমি ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি, ভবিষ্যতেও আমরা নির্দ্ধারিত সময়-তালিকা অনুসারেই কাজ করে যাব।

 গত আগষ্ট মাস থেকেই আমি আমার দেশবাসীদের সর্ব্বদা