পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সেই থেকে আমাদের সেনাবাহিনী মাতৃভূমির পবিত্র মাটিতে বিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সীমান্ত অতিক্রমের ফলে আমাদের সেনাদলের মনে অপূর্ব্ব প্রেরণা এসেছে। পূর্ব্ব-এশিয়ায় ১৯৪১-এর ডিসেম্বর মাসে নিপ্পনের যুদ্ধ রূপে যে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়েছিল—সে যুদ্ধ এখন আমাদের যুদ্ধ, ভারতের মুক্তির যুদ্ধ। কাজেই, কোন কষ্ট কোন অসুবিধা কোন স্বার্থত্যাগেই আমাদের কুণ্ঠিত হওয়া উচিত নয়। এ শুধু আমাদের স্বাধীনতার মূল্য। বর্ত্তমান যুদ্ধারম্ভের পরে আমরা নিপ্পনের সাম্রাজ্যিক-বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকবার অভিনন্দন বাণী পেয়েছি। এ রকম প্রত্যেক বাণীতে ভবিষ্যতে আমাদের প্রচেষ্টা বৃদ্ধির সংকল্প দৃঢ়তর হয়েছে, এবং বীরত্ব ও সাহসের উচ্চতর শিখরে আরোহণের প্রবৃত্তি জেগেছে। আমি পুনরায় নিশ্চিত করে বলছি যে, এ যুদ্ধ আমাদের জীবন-মৃত্যুর যুদ্ধ; এর মধ্যে যত যন্ত্রণা-ভোগ ও আত্মত্যাগের দাবীই থাকুক না কেন, চূড়ান্ত বিজয় সম্বন্ধে আমরা নিশ্চিন্ত আছি বলে শেষ পর্য্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দৃঢ়-সংকল্প।

 ব্রহ্ম গবর্নমেণ্ট এবং সাম্রাজ্যিক নিপ্পন-বাহিনীর মাননীয় প্রতিনিধিরা তাঁদের উপস্থিতির দ্বারা বর্ত্তমান অনুষ্ঠানের গৌরব বৃদ্ধি করেছেন বলে আমি তাঁদের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আমাদের সাধারণ বিজয় লাভ না হওয়া পর্য্যন্ত তাঁদের সেনাদলের সঙ্গে এবং তাঁদের জাতির সঙ্গে আমরা হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাব।

 সম্মান-দান উৎসবের কুচ-কাওয়াজ উপলক্ষে: ৪ঠা জুলাই, ১৯৪৪

৫৩