পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ গর্ভাস্ক গোলোক বস্তুর বাটীর দরদালান নবীনমাধবের মৃত শরীর ক্রোড়ে করিয়া সাবিত্রী আসীনা সাবি। আয় রে আমার জাহমণির ঘুম আয়—গোপাল আমার বুক জুড়ানে ধন, সোনার চাদের মুখ দেখলে আমার সেই মুখ মনে পড়ে (মুখচুম্বন ) বাছ আমার ঘুমায়ে কাদা হয়েচে ( মস্তকে হস্তামর্ষণ ) আহা মরি, মরি, মশায় কামড়ে করেচে কি ?—গরমি হয় বল্যে কি করবে, আর মশারি না খাটুয়ো শোব না । ( বক্ষঃস্থলে হস্তামর্ষণ ) মর্যে যাই মার প্রাণে কি সয়, ছারপোকায় এমনি কামড়েচে, বাছার কচি গ দিয়ে রক্ত ফুটে বেরুচ্চে । বাছার বিছানাটা কেউ কর্যে দেয় না ; গোপালেরে শোয়াই কেমন কর্যে। আমার কি আর কেউ আছে, কৰ্ত্তার সঙ্গে সব গিয়েছে । ( রোদন ) ছেলে কোলে কর্যে র্কাদিতেছে, হা পোড়াকপালি ! ( নবীনের মুখাবলোকন কর্যে ) দুঃখিনীর ধন আমার দেয়াল করিতেছে। (মুখ চুম্বন করিয়া ) না বাবা তোমারে দেখ্যে আমি সব দুঃখ ভুলে গিয়েচি আমি কাদিতেছি না (মুখে স্তন দিয়া ) মাই খাও, গোপাল আমার মাই খাও—গস্তানি বিটির পায় ধরলাম তবু কত্তারে একবার এনে দিলে না, গোপালের হ্রদ যোগান কর্যে দিয়ে আবার যেতেন ; বিটির সঙ্গে যে ভাব, চিটি লিখলিই যমরাজা ছেড়ে দিত ( আপনার হস্তের রজ্জ্ব দেখিয়া ) বিধবা হয়ে হাতে গহন রাখিলে পতির গতি হয় না—চীৎকার কর্যে র্কাদিতে লাগলাম তবু আমারে শাক পরয়ো দিলে—প্রদীপে পুড়য়ে ফেলিচি তবু আছে (দন্ত দ্বারা হস্তের রজ্জ্ব ছেদন) বিধবা হয়্যে